বাংলাদেশে হিংসা অব্যাহত। হিন্দুদের উপর চলছে একের পর এক আক্রমণ। এই পরিস্থিতির মধ্যে, ইউনূস সরকার শেখ হাসিনার বক্তৃতাকে নিষিদ্ধ করল। নিউইয়র্কে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার একদিন পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশজুড়ে হিংসা। বিপন্ন পড়শি দেশের সংখ্যালঘুরা। ভাঙচুর চলছে সেদেশের মন্দির, গীর্জায়। এই পরিস্থিতিতে নীরবতা ভাঙলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে অশান্তির জন্য তিনি সাফ দায়ী করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে। শেখ হাসিনার অভিযোগ, বেছে বেছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে। এর নেপথ্যে হাত রয়েছে ইউনূসের। এমনকি সে দেশের মন্দির, গির্জা ও ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের উপর হামলার জন্যও ইউনূসের নিন্দা করেছেন হাসিনা। এবার সেই হাসিনার বাক স্বাধীনতাতেই হস্তক্ষেপ করতে চায় বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে শেখ হাসিনার কিছু বক্তব্য সামনে এসেছে। ইউনূস প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ সামনে এনেছেন তিনি। ‘অত্যাচারের মাস্টারমাইন্ড’ বলে উল্লেখ করেছেন ইউনূসকে। বাংলাদেশে মন্দির, গির্জা এবং ইসকনের মন্দিরে যেভাবে হামলা হয়েছে, তারও কড়া নিন্দা করেছেন হাসিনা। এরপরই হাসিনার বক্তব্যকে ‘বিদ্বেষমূলক’ তকমা লাগিয়ে নিষিদ্ধ করতে চাইছে ইউনূস সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নবগঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। শেখ হাসিনার কোনও ধরনের বক্তব্য যাতে সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার না করা হয়, সেই নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনা আগে যত বক্তব্য দিয়েছেন তাও সব মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে ও তথ্য মন্ত্রককে সেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সম্প্রতি, আমেরিকার নিউইয়র্কে আওয়ামি লিগের এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেখানেই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তিনি। বলেন, ‘আজ আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মুহাম্মদ ইউনূসই ছাত্র সমন্বয়কদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। তাঁরাই মাস্টারমাইন্ড। এমনকি তারেক রহমানও লন্ডন থেকে জানিয়েছেন এভাবে যদি মৃত্যু চলতেই থাকে, তাহলে এই সরকার বেশিদিন টিকবে না। আজ শিক্ষক, পুলিশ সবার উপর হামলা চালানো হচ্ছে এবং হত্যা করা হচ্ছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের নিশানা করা হচ্ছে। গির্জা ও বেশ কয়েকটি মন্দিরে হামলা হয়েছে। কেন বাংলাদেশে এখন সংখ্যালঘুদের টার্গেট করা হচ্ছে?’ হাসিনা নিউইয়র্কে তার সমর্থকদের বলেছিলেন যে পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তাঁকে এবং তার বোন শেখ রেহানাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আগস্টে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার জেরে কয়েকজন দাগী অপরাধী এবং উগ্র মৌলবাদী সহ প্রায় ৭০০ বন্দী এখনও পলাতক।
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র পহেলগাঁওয়ে এক ভয়াবহ জঙ্গিহানা হয়। জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন পর্যটক।...
Read more
Discussion about this post