শহীদ দিবসের মঞ্চে কি দেখা মিলবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের? রাজ্য রাজনীতিতে এই প্রশ্ন নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। জয় প্রকাশ মজুমদারের মতো নেতারা দলের অন্দরে ফর্মালিটির বিষয় টাকে গুরত্ব দিচ্ছেন।
শোভন চট্টোপাধ্যায়। একসময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির ব্লু আইড বয় হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ছিলেন মমতার সাধের কানন। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল নেত্রী তাঁর সাধের কাননকে অনেক গুরু দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন। বসিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র পদে। কানন ছিলেন আবার রাজ্যের দমকল মন্ত্রীও। প্রায় ৮ বছর কলকাতা পুরসভার মেয়র পদ সামলে ছিলেন শোভন। আচমকা ছন্দ পতন। অনেকেই মনে করেন বৈশাখী কে নিয়ে শোভনের জীবনে টানাপোড়েন তাঁর রাজনীতি জীবনে প্রভাব ফেলেছিল। শোভনের সাংসারিক বিবাদে শোভনের স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জির পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় নেত্রীকে। এরপর কলকাতা পুরসভার মেয়র পদ ছেড়েছিলেন শোভন। সবাইকে চমকে দিয়ে কয়েক মাস পর বিজেপিতে যোগদান।
তবে মন টেকেনি সেখানে। এরপর থেকে রাজনীতিতে বেশ নিষ্ক্রিয়। টিভির পর্দায় মাঝে মধ্যেই শোভন বৈশাখীর ভালবাসার ছবি ফুটে উঠলেও আর সেইভাবে রাজনীতিতে দেখা যায়নি শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। চলতি বছরের শুরুতে শোভন বৈশাখীর গোলপার্কের বাড়িতে পৌঁছে যান কুণাল। চায়ের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে নৈশ ভোজের সময় পার করে শোভনের ফ্যাট থেকে কুণাল বাইরে আসেন। তখন থেকে শোভনের ঘরওয়াপসির বিষয়টি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। সম্প্রতি শোভনের জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও উপহার পাঠিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। যাকে ঘিরে আবার তোলপাড় হতে শুরু করেছে শোভনের রাজনীতিতে ফেরার প্রসঙ্গ। এমন কথাও শোনা যাচ্ছে যে মেয়রের পদ যেতে চলেছে ফিরহাদের। প্রাক্তন মেয়র শোভন বসবেন বর্তমান মেয়রের পদে। এই বিষয়ে শোভন কোন খোলসা না করলেও ফিরহাদ মুখ খুলেছেন। জানিয়েছেন যা হবে সবটাই দিদির সিদ্ধান্ত। পাশাপশি শোভন যদি দলে ফেরেন সেই বিষয়ে ও খুশি প্রকাশ করেছেন।
শোভন দলে ফিরবেন কি ফিরবেন না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে এই নিয়ে দলের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো তৃণমূল নেতারা বলছেন দলে ফেরা নিয়ে ফর্মালিটির কথা। অর্থাৎ সব কিছুর একটা প্রক্রিয়া রয়েছে। দলে ফেরার জন্য আবেদন করার মতো বিষয় গুলি জরুরি। অন্যদিকে কল্যাণ ব্যানার্জির মতো দলের পুরনো সৈনিকরা বলছেন আদতে formtality tormality কোন ব্যাপার নয়। পুরোটাই দিদির ইচ্ছে। সব মিলিয়ে 21 শে জুলাই এর শহীদ মঞ্চে কানন তথা শোভনের উপস্থিতি নিয়ে জল্পনা জোরাল হচ্ছে।
Discussion about this post