বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে সেদেশের বিভিন্ন ইসলামপন্থী সংগঠন। এবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইসকনকে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন’ বলে উল্লেখ করল। এমনকি ইসকনকে নিষিদ্ধ করার আবেদনও জানানো হয়েছে বাংলাদেশ হাইকোর্টে। এই নিয়ে হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল হয়েছে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম এবং রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির আবেদনও জানানো হয়েছে আদালতে। কারণ চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির পর থেকে ওই দুই শহরে একাধিক গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার শুনানি চলাকালীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনিই ইসকনকে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন’ বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। ইসকন সম্পর্কে বিশদ তথ্য চায় আদালত, বাংলাদেশে ওই সংস্থার পত্তন হল কী ভাবে জানতে চাব। জবাবে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ” ইসকন কোনও রাজনৈতিক দল নয়, সেটি একটি ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন। ওদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ইসকনকে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কী অবস্থান, তা জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেফতারি এবং তাঁকে আদালতে পেশের দিন সংঘর্ষের মাঝে এক আইনজীবীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটার পর থেকেই বাংলাদেশে ইসকনকে ‘মৌলবাদী সংগঠন’ উল্লেখ করে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি তুলেছে। ইউনূস সরকারও ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও প্রেস বিবৃতিতে সরকার জানিয়েছে ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না বাংলাদেশে। এদিকে, জামাতরাও হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে ইসকনকে নিষিদ্ধ না করলে, আরও হামলা হবে। শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ইসকনের তরফে নতুন বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, চিন্ময়কৃষ্ণকে তারা সমর্থন করে। আদৌ তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি। বরং তাঁর সম্পর্কে কিছু কথা ‘স্পষ্ট’ করে দেওয়া হয়েছে। ইসকনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘চিন্ময়কৃষ্ণের অধিকার, বাংলাদেশে হিন্দুদের এবং তাদের ধর্মীয় স্থানগুলি রক্ষার জন্য তাঁর প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে ইসকন। তাঁর থেকে দূরত্ব তৈরি করা হয়নি। আমরা শুধু একটা জিনিস স্পষ্ট করে দিয়েছি যে, তিনি ইসকনের সদস্য নন। বাংলাদেশের ইসকনের প্রতিনিধিত্ব তিনি করছেন না। গত কয়েক মাসে এই কথা একাধিক বার আমরা বলেছি।’’ ইসকনের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘‘মাস কয়েক আগেই শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস, সদস্য গৌরাঙ্গ দাস এবং চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করেছে ইসকন বাংলাদেশ। তাই তাঁর কোনও রকম বক্তব্য কিংবা কার্যকলাপের দায় ইসকনের নয়।’’ এরই মাঝে প্রশ্ন উঠছিল তাহলে কি বাংলাদেশে মৌলবাদীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে ইউনুস সরকার? যদিও গত বুধবার সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউনুস সরকারের নানা পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেন। সংখ্যালঘু নিপীড়নের ঘটনা নিয়ে এর আগে একাধিকবার সরব হয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউনুস সরকার জঙ্গি এবং মৌলবাদীদের মুক্ত করে দিয়ে দেশে হিংসা ছড়াতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। হাসিনার সুরেই এবার সরব হলেন তাঁর সরকারের সময়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বাংলাদেশে হাসিনা জমানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ভারত বিরোধিতা, জঙ্গি ও মৌলবাদীদের মদত দেওয়া এবং সংখ্যালঘু নিপীড়ন এক সূত্রে বাঁধা।
দেশে এবং বিদেশে বিরাট রোহিতরা টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই, ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা বার বার বলে আসছিলেন যে, এই...
Read more
Discussion about this post