বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর কড়া সতর্কতা জারি করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সোমবার বিকেলে বিএসএফের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। বিএসএফ সূত্রে খবর, সীমান্তে মোতায়েন করা জওয়ানের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। সোমবার সুন্দরবনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রস্তুতি পর্ব খতিয়ে দেখেন বিএসএফের ডিজি দলজিৎ সিংহ চৌধরি।হাসিনা বাংলাদেশ ছাড়ার পর এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হতে দেখা গিয়েছে ঢাকা-সহ বাংলাদেশের একাধিক জায়গায়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢুকে গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ভাঙা হয়েছে শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি। এরপর থেকে উত্তপ্ত ছিল বাংলাদেশ। এখানেই না থেমে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তার জামিনের মামলাও খারিজ হয়। এরপর থেকেই আরও ঘনিয়ে আসে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। সেদেশের সমগ্র পুলিশ-প্রশাসনের তরফে কোনওরকম সহযোগিতা না পেয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। তারমধ্যে ভারত বিরোধী জিগির তুলে দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা আরও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে প্রতিবেশি দেশের জামাত সহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনগুলি। যা নিয়ে বাংলাদেশকে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে। ভারত আমেরিকা যুক্ত ভাবে কটাক্ষ করেছে মুহাম্মদ ইউনুসকে। সেই আবহেই বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ালো ভারত। সংখ্যালঘু নির্যাতন ও ভারত বিরোধীতা নিয়ে ইতিমধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে সেই প্রতিক্রিয়া পেতেই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে ইউনিসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থিত মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলি। সুপরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের ওপর ‘টার্গেট কিলিং’ শুরু করেছে তারা। ভাঙচুর চলছে একাধিক মন্দিরে। যা নিয়ে আতঙ্কিত বাংলাদেশের হিন্দুরা। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিকল্প পথের কথাও ভাবছে ভারত। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম-মনিপুর সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে বিপুল সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫,০০০ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের দিকে তাক করা হয়েছে পিনাকা গাইডেড মিসাইল। যার রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমানু অস্ত্র বহনেও সক্ষম এই ক্ষেপনাস্ত্র। ইতিহাসে প্রথমবার বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের এই বিপুল সেনা মোতায়েন নিঃসন্দেহেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনুস সরকারের। জানা গিয়েছে, সুকনা ও বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনি থেকে প্রাথমিকভাবে ওই দু-কোম্পানি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্তে । প্রথম পর্যায়ের নিরাপত্তা বিএসএফ করলেও সেকেন্ড লাইন কন্ট্রোল হিসেবে ভারতীয় সেনা মোতায়েন করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক । কারণ, এদিন বিকেলে বাংলাবান্ধা সীমান্তের পঞ্চগড়ে আগুন জ্বালিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় ওপার বাংলার মানুষ । সীমান্তে থাকা বিএসএফ আধিকারিক ও মিলিটারি ইন্টালিজেন্স বিষয়টি উপরমহলে জানাতেই কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় কার্যত অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে মুখে তা না মানলেও কথাবার্তা আচরণে সেই আশঙ্কা স্পষ্ট টের পাচ্ছেন তারা। কারণ বাংলাদেশের আভ্যন্তরে এই ভারতের সেনা মোতায়েন নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে। সেদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও পাকিস্তান ও মায়ানমারে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ টেনে এনে বাংলাদেশের ওপর সেই আশঙ্কার কথাও বলছেন। তবে বাংলাদেশের মতো ছোট্ট-দুর্বল দেশের বিরুদ্ধে আদৌ ভারত সামরিক বল প্রয়োগ করবে কিনা তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
দেশে এবং বিদেশে বিরাট রোহিতরা টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই, ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা বার বার বলে আসছিলেন যে, এই...
Read more
Discussion about this post