বাংলাদেশের নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাটি খোড়ার সময় রাইফেল, মর্টারশেল ও দুইটি মাইন উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ইউনিয়নের ক্যানেলের বাজার এলাকা থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলের দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ক্যানেলের বাজার এলাকায় ক্যানেলের পাশের পতিত জমি খননের সময় শ্রমিকরা ৩.৩ রাইফেল, দুইটি মাইন ও একটি মর্টারশেল দেখতে পায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে সবাই দেখতে ছুটে আসেন। কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, পতিত জমি খননের সময় ৩.৩ রাইফেল, দুইটি মাইন ও একটি মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের অপেক্ষা করছে পুলিশ। এদিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে বাংলাদেশে চর্চার অন্ত নেই। এই ছোট্ট প্রবাল দ্বীপ নিয়ে একটা সময়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেছিলেন শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে এই প্রবাল দ্বীপে বাংলাদেশিদের যেতে রেজিস্ট্রেশন লাগবে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। যা নিয়ে ছড়িয়েছিল বিভ্রান্তি। আর বর্তমানে প্রতিবেশী মায়ানমারের গৃহযুদ্ধের প্রভাব পড়েছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মংডু শহর দখল করেছে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘আরাকান আর্মি’। এর জেরে নাফ নদীতে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তের ওপার থেকে উড়ে এসেছে বোমা-গুলির আওয়াজ। এমনকী বিগত কয়েক মাসে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী জাহাজে গুলিও লেগেছে বলে অভিযোগ। তবে তাতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে আপাতত নাফ নদী দিয়ে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলেও সমুদ্রপথে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাওয়া যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে স্থায়ী ভাবে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার মানুষের বাস। এই বাসিন্দাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যায় টেকনাফ থেকে। কোনও কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে খাদ্যপণ্যের সংকট দেখা দেয়। টেকনাফসহ বাংলাদেশ লাগোয়া পুরো সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ এখন আরাকান আর্মির হাতে। এই আবহে নাফ নদী দিয়ে নৌযান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সমুদ্রপথে যাতায়ত করা যাচ্ছে। তবে পাঁচ দিন ধরে নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্ট মার্টিনে খাদ্যসামগ্রীর মজুত কমে গিয়েছে। এদিকে গত ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশের ৩৩টি শিবিরে মোট ১২ লাখ রোহিঙ্গার বাস বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা রাখাইন প্রদেশে থাকে। তবে অভিযোগ, মংডু শহর দখলের পর থেকেই রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার শুরু করেছে আরাকান আর্মির সদস্যরা। যদিও মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে এরই মধ্যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এর আগে রোহিঙ্গারা কক্সবাজার এলাকার বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে। তাদের ‘দখলদারির’ জেরে কক্সবাজারের পরিবেশ দূষণ এবং অপরাধ বেড়েছে বলে অভিযোগ। এই আবহে আরও বেশি সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকলে তা মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে মহম্মদ ইউনুসের জন্যে। এই আবহে বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সেখানে সরকার গঠন করে জুন্টা। গত আড়াই বছর ধরে তারাই চালাচ্ছে দেশ। সেই থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে বার বার বিদ্রোহ হয়েছে মায়ানমারে। এর পর জোট বাঁধে তিন বড় বিদ্রোহী গোষ্ঠী টিএনএলএ, আরাকান আর্মি ও এমএনডিএএ। এই জোটের নাম ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর থেকে বিদ্রোহী জোট শুরু করে ‘অপারেশন ১০২৭’। এর জেরে মায়ানমারের বেশ কয়েকটি প্রদেশে প্রবল বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। মায়ানমারের উত্তরের রাজ্য রাখাইনের দখল নিয়ে নেয় আরাকান আর্মি। এই রাখাইনই এখন গৃহযুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু।
দেশে এবং বিদেশে বিরাট রোহিতরা টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই, ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা বার বার বলে আসছিলেন যে, এই...
Read more
Discussion about this post