বাংলাদেশের বাজারে আগুন। বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের কাজ চাই। এখনই কমাতে হবে জিনিসের দাম। জরুরি অর্থনৈতিক সংস্কার। কিন্তু অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হলেও অন্তর্বর্তী সরকারের সে দিকে নজর নেই বলে অভিযোগ ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব ব্যাঙ্কও উদ্বিগ্ন। শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পরে বিন্দুমাত্র কমেনি জনজীবনের দুর্ভোগ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির হাল করুণ। কিন্তু সে দেশের সরকার কখনও রাষ্ট্রপতিকে নিশানা করে, কখনও জাতীয় ভাষ্য ও ইতিহাসে বদল এনে মানুষের ‘দৃষ্টি ঘোরাতে’ তৎপর। এদিকে সম্প্রতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাকে তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চট্টগ্রামের তিনটি শাখা থেকে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। এস আলম গ্রুপ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের তলব করা হয়। চিঠিতে ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের চাক্তাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবিলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসের নামে নেওয়া ঋণ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ মনিটরিং সংক্রান্ত নথিপত্রও চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর দুদকে হাজির হয়ে উত্তর দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম। এর আগে গত ৬ নভেম্বর ইসলামী ব্যাংকের ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইসলামী ব্যাংকের ২৩ কর্মকর্তা ও তিন জন ব্যবসায়ীকে দুর্নীতি দমন কমিশনকে তলব করা হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক ও এবিষয়ের অনুসন্ধান টিমের লিডার মো: ইয়াছির আরাফাত স্বাক্ষরিত তলবনামায় মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরীসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে ইসলামী ব্যাংকের টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ করা হয়। এই অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মো: ইয়াছির আরাফাতকে টিম লিডার করে তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়। যদিও নয়াদিল্লি মনে করছে, পদে পদে উগ্র ভারত বিরোধিতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। আবার সেই সরকারই ভারত থেকে ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কার মতো নিত্যব্যবহার্য পণ্য এনে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে চাইছে। মানুষ চাইছেন নির্বাচন। কিন্তু নির্বাচনের কোনও পথনির্দেশিকা দিচ্ছেন না ইউনূস সরকার। পাশাপাশি ‘বিশ্ব ব্যাঙ্ক বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’-এর অক্টোবর সংখ্যায়, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে টালবাহানায় দেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে সেই রিপোর্টে। আকাশছোঁয়া জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি ব্যর্থতার পাশাপাশি শিল্পে নতুন বিনিয়োগ না হওয়ায় কর্মসংস্থানের অভাব ভাবিয়ে তুলছে অর্থনীতিবিদদের। খাদ্যে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকিয়ে নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টিই অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। দ্রব্যমূল্য এখন মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ডিম থেকে কাঁচা লঙ্কা ভারত থেকে আমদানি করেও সুফল মিলছে না। মুনাফাবাজ ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের ঢাকা অফিসের শীর্ষ পর্যায়ের অর্থনীতিবিদ ধ্রুব শর্মা জানিয়েছেন, চলতি বছরে খাদ্যের দাম ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য দিকে, চলতি অর্থ বছরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি কমে হচ্ছে ৪ শতাংশ।
দেশে এবং বিদেশে বিরাট রোহিতরা টেস্ট সিরিজে ব্যর্থ হওয়ার পর থেকেই, ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা বার বার বলে আসছিলেন যে, এই...
Read more
Discussion about this post