আরজি করের প্রতিবাদে সামিল হওয়ার দুই কলেজ ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী

আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদ করায় দুই ছাত্রীকে ক্লাস করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। বাঁকুড়া জিলা সারদামনি মহিলা মহাবিদ্যাপীঠ কলেজের ঘটনা। হাসপাতাল নয় এবার সাধারণ মহিলা ডিগ্রী কলেজেও থ্রেট কালচারের অভিযোগ। আরজি করের প্রতিবাদে আন্দোলন করায় দুই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠলো বিভাগীয় প্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্য বাঁকুড়া জেলায়। আরজি কর কান্ডের আবহে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচারের বিষয়টি সামনে আসে। কিন্তু সেই থ্রেট কালচার যে শুধু মেডিক্যাল কলেজগুলিতে গেড়ে বসেছে তাই নয়, সাধারণ কলেজেও রীতিমত জাঁকিয়ে বসেছে থ্রেট কালচার বলে অভিযোগ। বাঁকুড়া সারদামনি মহিলা কলেজের ঘটনায় সেই ছবি প্রকাশ্যে এলো বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। জানা গেছে বাঁকুড়া জিলা সারদামনি মহিলা কলেজের ভূগোল বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের দুই ছাত্রী অপর্না মন্ডল ও প্রেয়সী টুডু কয়েকদিন আগে আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে কলেজে প্রতিবাদ কর্মসূচী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই কর্মসূচীর অনুমতি না মেলায় কলেজের গেটের বাইরের রাস্তায় তাঁরা প্রতিবাদী স্ট্রিট পেইন্টিং করেন। শুধুমাত্র সেই অপরাধে ওই দুই ছাত্রীর উপর নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া।অভিযোগ ওই দুই ছাত্রী পরে কলেজে ভূগোল বিভাগে ক্লাস করতে গেলে বিভাগীয় প্রধান তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা তাঁদের অপমান করে ক্লাস থেকে বের করে দেন। বিষয়টি নিয়ে ওই দুই ছাত্রী কলেজের টিচার ইন চার্জের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা মেলেনি। এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরে, থ্রেট কালচারের প্রতিবাদে শনিবার কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখায় ওই দুই ছাত্রী ও তার সঙ্গীরা।দুই ছাত্রীকে ক্লাস করতে না দেওয়ার কথা স্বীকার করে তাঁর দাবি, ক্লাসের অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন ওই দুই ছাত্রী ক্লাসের মধ্যে নির্দিষ্ট একটি দলের নামে চাঁদা তুলে অন্যদের উত্যক্ত করে।