রাজনৈতিক পাঠশালা খোলার শলা-পরামর্শ ববির। ২০১৯ এ উত্তরবঙ্গে লোকসভার ফলাফল ছিল অত্যন্ত খারাপ। জোড়াফুলের ঝুলিতে একটিও আসন আসেনি। বিপক্ষ শিবির পদ্মের রেজাল্ট ছিল অতি ভালো। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ফুটেছিল পদ্ম। রাজ্যে বিজেপির ঝুলিতে যাওয়া ১৮ টা আসনে উত্তরের ভূমিকা ছিল নিদারুন। ২০২৪ এ ভোটে কার্যত ভালো ফল করেছে তৃণমূল। গতবারের তুলনায় আসন সংখ্যাও বেড়েছে। তবে উত্তরের রেজাল্ট প্রত্যাশিত নয়। কোচবিহারের আসনটি তৃণমূলের ঝুলিতে গেলেও মূলত আধিপত্য কায়েম থাকে পদ্মের। কিন্তু কেন? গোটা রাজ্যে তৃণমূল ভালো ফল করলেও উত্তরে নয় কেন। রাজ্যের শাসকদলের অনেক নেতাই তাঁর উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছে। কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মনে করছেন রাজনীতির পাঠশালা খোলা উচিৎ। সেখানে একজন রাজনীতিক কে জনসংযোগের পাঠ দেওয়ার পাশাপাশি, আচার-আচরণ শিখতে হবে। অর্থাৎ উত্তরে দলের সাংগঠনিক দূর্বলতাকে চিহিৃত করতে চাইলেন ববি ওরফে ফিরহাদ
অনেকেই মনে করছেন এই রাজনৈতিক আচরণ ও সহবত শেখানোর কথা বলে কার্যত দলের লাইমলাইটে থাকা নেতাদেরও বার্তা দিতে চাইছেন ববি। বলাবহুল্য দিনহাটার বুকে নীশিথ প্রামাণিক ও উদয়ন গুহর বিবাদ সর্বজন বিদিত। ভোটের আগে সম্প্রতি রাস্তায় নেমে পরস্পরের বিরুদ্ধে তেড়েও যেতে দেখা যায় তাঁদের। সেবার উদয়ন গুহর গাড়িতে হামলার অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম হয় কোচবিহরের ঘুঘুমারিতে। বিজেপির মিছিল থেকে হামলার অভিযোগ ওঠে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী যখন কোচবিহারে আসছিলেন, সে সময়ই ঘুঘুমারি মোড়ে একটি বিজেপির মিছিল চলে। রাজ্যের মন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, সেই মিছিল থেকে নিশীথ প্রামাণিকের নির্দেশে তাঁর গাড়িতে হামলা চলানো হয়েছে। তবে এইরকম ঘটনা প্রথমবার নয়। আগেও উদয়ন ও নিশীথের মধ্যে ঝামেলা ঘটতে দেখা গিয়েছে। অষ্টাদশ নির্বাচনে কোচবিহার আসন থেকে হেরে গিয়েছেন নিশীথ। সংশ্লিষ্ট আসন থেকে মানুষের রায় গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে। তবুও সহবত ও আচরণের কথা বলে ফিরহাদ হাকিম বার্তা দিতে চাইলেন দলের একাংশকে। কারণ এই ধরণের আচরণ মানুষ মেনে নিতে চান না।
ভোট মরশুমে বহুবার উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মমতা-অভিষেক। চা বাগানে চা শ্রমিকদের সঙ্গেও দিদিকে পা মেলাতে দেখা যায়। ফিরহাদের দাবি উত্তরের মানুষ মমতাকে চান। দিদির প্রতি তাঁরা শ্রদ্ধাশীল। কোন ক্ষোভ নেই তাঁদের।
Discussion about this post