সম্প্রতি হাড়োয়া বিধানসভার প্রচারে গিয়ে বসিরহাটের বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র সম্পর্কে এই শব্দই উচ্চারিত করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। যা এখন টক অফ দ্য টাউন। তীব্র সমালোচনা করেছেন রেখাও। রেখার পাশে দাঁড়িয়ে ফিরহাদের কড়া শাস্তি দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রেখা পাত্রকে নিয়ে ফিরহাদের সেই মন্তব্য নিজের টুইটার হ্যান্ডেলেও পোস্ট করেছেন শুভেন্দু। এই ঘটনার পুলিশের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতীত্বের অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির অভিযোগ, ফিরহাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছে পুলিশ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘রেখা পাত্রের সম্পর্কে যে অবমাননাকর মন্তব্য মন্ত্রী করেছেন, তার জন্য শুধু ভর্ৎসনাই প্রাপ্য নয়। মহিলাদের সম্পর্কে এই ধরনের বক্তব্যের জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’ রেখারও অভিযোগ, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রীকে উনি (ফিরহাদ) অপমান করেছেন। আমার সম্পর্কেও যা বলেছেন, তাতে সন্দেশখালির সব মহিলা, তফসিলি জাতি-জনজাতি সম্প্রদায়েরও অসম্মান হয়েছে। সন্দেশখালির মানুষ এর জবাব দেবেন।’’ প্রসঙ্গত, হাড়োয়া উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপি নেতৃত্বকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন ফিরহাদ। সেখানেই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টেনেছিলেন মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সন্দেশখালিকে কলঙ্কিত করেছে বিজেপি, সন্দেশখালির মানুষের নামে কুৎসা রটিয়েছে, দেশের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে ভুল বার্তা দিয়েছে।’’ সন্দেশখালির রেখা বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন, হারের পরে মামলা করেছেন। রেখার হারের কথা বলতে গিয়েই ফিরহাদ যে শব্দ ব্যবহার করেছেন, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাতে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভের পাশাপাশি ডেপুটেশন জমা দেন রেখা পাত্র ও সন্দেশখালীর বেশ কিছু প্রতিবাদী মহিলা। তারা বিক্ষোভ দেখানোর পর মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে সন্দেশখালি থানায় ডেপুটেশন জমা দেন, বলে সূত্রের খবর।
অবসর নিতে চলেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। এর আগে শুক্রবার তাঁকে দেওয়া হল বিদায়ী সন্বোধনা। সেখানে স্বভাষণ...
Read more
Discussion about this post