আর জি কর কাণ্ড নিযে এমনিতেই প্রচন্ড চাপে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের বিরুদ্ধে উঠছে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। এরমধ্যেই আরেকটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও সামনে এল। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে। তাতে দেখা যাচ্ছে, নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল সঙ্গে দুজন সঙ্গীকে নিয়ে সফর করছেন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে। সেই সময় টিকিট পরীক্ষক এবং অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে তাঁর তর্কবিতর্ক চলছে। অভিযোগ, বিধায়কের বৈধ টিকিট থাকলেও তাঁর সঙ্গীদের কোনও টিকিট ছিল না। অথচ তাঁরা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় আরাম করে বসে রয়েছেন। টিকিট পরীক্ষক জরিমানা করতে চাইলেও তাঁরা তা দিতে নারাজ। এমনকি বিধায়ককে হুমকির সুরে টিকিট পরীক্ষকের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, আমি জরিমানা দেব না, আপনি আইন আদালতে যেতে পারেন।
আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক ওই ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেছেন, নবগ্রামের বিধায়ক তাঁর সঙ্গে অতিরিক্ত দুজনকে নিয়ে সফর করছিলেন ডাউন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে। দুজনের মধ্যে একজনের কাছে টিকিট ছিল না। টিকিট পরীক্ষত বৈধ্য টিকিট চাইলে বিধায়ক নিয়মের প্রতি কোনও সম্মা্ন না দেখিয়ে উল্টে টিটিই-কে ভয় দেখান। এমনকি বিধায়ক হিসেবে তাঁর পদমর্যাদা এবং ক্ষমতার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। কিন্তু ট্রেনের ভিতর ওই কামরার যাত্রীরা টিটিই-র পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করেন। অনেকেই বিধায়ককে প্রশ্ন করেন, আপনি বিধায়ক বলে এই নয় যে আপনি নিয়ম লঙ্ঘণ করবেন। ওই ভাইরাল ভিডিওয় শোনা যাচ্ছে, এক পুরুষ কণ্ঠ বলছে, ‘ আপনি এমএলএ বলে যা খুশি করবেন?’ একইসঙ্গে মহিলা কণ্ঠও বলতে থাকেন, ‘ট্রেনে এমন একটা হ্যাজার্ড, একটা ক্যাওস সৃষ্টি করছেন, অন্যের টিকিট-এ চলে আসবেন?’ এরপরই এই বক্তব্যের জবাব দিতে উদ্যত হন তৃণমূলের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল। শেষ অংশে দেখা যায় সেই মহিলা কণ্ঠ বলছেন,’কী অবস্থা.. হয় না এসব। আপনারা যা খুশি করছেন…।’ বারবার বক্তব্য ওঠে,’ওনার নামে তো টিকিট নেই।’ এরপরই নির্বিকার তৃণমূল বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘আপনি কোর্টে যান..।’
বিজেপি বিধায়কদের শেয়ার করা এই ভিডিও সমাজমাধ্যমে তুমুল ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই সহযাত্রীদের সাহসিকতার প্রশংশা করেছেন। এমনিতেই আর জি কর কাণ্ড নিয়ে প্রবল চাপে তৃণমূল। তার ওপর নবগ্রামের বিধায়কের এহেন আচরণ সেই ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
Discussion about this post