আঁচ ছিলই। ঠিক সেইমতো মঙ্গলবার সকাল থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি চলছিল। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ-এর ডাকে নবান্ন অভিযান ঘিরে যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইকে না যায়, সকাল থেকেই সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছিল পুলিশ-প্রশাসন। কোনওভাবেই যাতে আন্দোলনকারীরা নবান্নে প্রবেশ না করতে পারে, তার জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। দিকে দিকে ব্যারিকেড, প্রস্তুত ছিল জলকামান। একদিকে যেমন সড়কপথে কড়া নজরদারি চলছিল, অন্যদিকে, আকাশপথে নজরদারি করতে উড়ছিলো ড্রোন। আর দিন গড়াতেই উত্তপ্ত হতে শুরু করে পরিস্থিতি। দুপুর ১২ টা নাগাদ ফোরশোর রোড এলাকায় জমায়েত করতে শুরু করেন অভিযানকারীরা। সেখান থেকে হাওড়া-ময়দান হয়ে জিটি রোডে মিছিল যেতেই শুরু হয় অশান্তি। ব্যারিকেডের একদিকে পুলিশ, অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা। তারপরেই পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে, টপকে এগিয়ে যেতে শুরু করেন তারা। ঠিক তখনই মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান করে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। পাল্টা মুহুর্মুহু ইটবৃষ্টি চলতে থাকে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে। রণক্ষেত্রের রূপ নেয় ফোরশোর রোড। অন্যদিকে, কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল রওনা হয়। মহাত্মা গান্ধী রোড থেকে মিছিল হাওড়া ব্রিজে উঠতেই উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সেখানেও বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয় পুলিশের তরফে। একদিকে যখন নবান্ন অভিযানে তপ্ত পরিস্থিতি, তখনই বুধবার রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিলো বিজেপি। যদিও বনধ মানতে নারাজ তৃণমূল। এরপরই ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে গ্রেফতার হয় ২২০জন। মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ ভার্মা। এই আন্দোলন ছাত্র সমাজের আন্দোলন হতে পারে না বলে দাবি পুলিশের। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে নবান্ন অভিযানকে ‘বেলাগাম, বিশৃঙ্খল তাণ্ডব’ বলে অভিহিত করল পুলিশ।এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। তিনি বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হবে বলে বলা হয়েছিল। কিন্তু আমরা দেখলাম অশান্তিপূর্ণ একটি আন্দোলন। এই আন্দোলন কখনও বাংলার প্রকৃত ছাত্রসমাজের হতে পারে না।’’ তিনি এও জানান, এই আন্দোলন ছুিল দুষ্কৃতীদের। একই কথা জানান এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা।
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, "গাধা গুলিয়ে জল খায়"। বর্তমান রাজ্য প্রশাসনের অবস্থা ঠিক সেরকমই। যে দাবি মানতেই হল, সেই সিদ্ধান্ত...
Read more
Discussion about this post