যাত্রী বোঝাই নৌকতে গ্যাস ভর্তি সিলিণ্ডার নিয়ে পারাপার। পাথরপ্রতিমা ব্লকের বিরাট বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায়শই দেখা মেলে এই ছবির। যাত্রীদের অভিযোগ যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এপার থেকে নদীর ওপার। দুই পারের যোগাযোগের মাধ্যম লঞ্চ । প্রতিদিন শয়ে শয়ে যাত্রী যাতয়াত করেন। তাঁদের যাতয়াতের পথে একমাত্র ভরসা এই লঞ্চ। শুধু যাত্রীরা নন। লঞ্চে করে পার করা হয় শয়ে শয়ে গ্যাস ভর্তি সিলিণ্ডার। আর তাতেই আতঙ্কিত যাত্রীরা। তাঁদের আষঙ্কা যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রাণ খোয়াতে পারেন একাধিক
পাথরপ্রতিমা এলাকায় কম বেশি ৯ টি দ্বীপ রয়েছে। উজ্জ্বলা প্রকল্পে প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে রান্নার গ্যাস। কয়লা, উনুনের বদলে এলপিজি গ্যাসে রান্না। প্রান্তিক গ্রামগুলিতেও ঘরে ঘরে এখন এই ছবি। তবে যাত্রীদের প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা ভেবে খেয়াপথে যাত্রী বোঝাই লঞ্চে গ্যাস ভর্তি সিলিণ্ডার পারাপারে বারণ করা হয়েছে। অভিযোগ কর্ণপাত করে না কেউ। লঞ্চে করে বিভিন্ন দ্বীপে টাকার লোভে গ্যাস নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রশাসনের উদাসীনতা ও বেপরোয়া মনোভাবে যাত্রীদের প্রাণনাশের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। মাঝ নদীতে কোনরকম দুর্ঘটনা ঘটে গেলে বড়রকমের বিপদ হতে পারে। যাত্রীদের অনেকেই খেয়া পারাপারের সময় ধূমপান করেন। পাশাপাশি লঞ্চে ইঞ্জিন চলে। ইঞ্জিনের ধোঁয়া বেরনোর পাইপের আশেপাশেই গ্যাস ভর্তি সিলিণ্ডারগুলি রাখা হয়। যা অতি বিপজ্জনক
কি ভাবে যাত্রীদের সঙ্গে একই লঞ্চে এত সিলিণ্ডার? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। আজ নয়, দীর্ঘদিন ধরে এইভাবেই পারাপার চলছে, তা সত্ত্বেও এতদিন কেন প্রশাসনের চোখে পড়ল না? কোন দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণ দিয়ে ক্ষতে মলম লাগানোর চেষ্টা হয়। কিন্তু দিনের পর দিন যখন ক্ষত তৈরির চেষ্টা চলে তা কারোর নজরে আসে না। গোটা সিস্টেমটাই যেন এক আশ্চর্য।
Discussion about this post