চতুর্থ দফা নির্বাচনে ভোটের হারে সেরা বাংলা। শতাংশের বিচারে ভোট প্রাপ্তি ৭৮.৩৭ । ৮ আসনে ভোট চলাকালীন কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনারও সাক্ষী থাকল বাংলা।
সোমবার দেশজুড়ে ৯৬ টি কেন্দ্রে চতুর্থ দফার ভোট সম্পন্ন হল। বাংলার ১৫ হাজার ৭০৭ টি কেন্দ্রে সম্পন্ন হল ৮ টি আসনের ভোট। ৮ আসনে প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৭৫ জন। যার মধ্যে ১৬ জন মহিলা প্রার্থী। মহুয়া মৈত্র, দিলীপ ঘোষ, এসএস আলুওয়ালিয়া, অধীর চৌধুরীর মত হাই প্রোফাইল নেতা-নেত্রীর ভোট ভাগ্য স্থির হয়ে গেল ব্যালটে। অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি ১৭১ টি কুইক রেসপন্স টিম ও ৫৭৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখা হয়েছিল। মোটের উপর ভোটদিন ছিল শান্ত। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে কয়েকটি এলাকায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। কোথায় কোথায় এমনটা ঘটেছে তা একনজরে দেখে নেব
বর্ধমান-দুর্গাপুরের টুল্লা
সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবেই চলছিল এলাকার ভোটগ্রহণ। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কীর্তি আজাদ ও দিলীপ ঘোষকে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে সৌজন্যের রাজনীতি করতেও দেখা যায়। চলতি নির্বাচনে মেদিনীপুরের বদলে বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে দাঁড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ। ভোটের দিন সকালে বুথ পরিদর্শনে বেড়িয়ে ছিলেন তিনি। কোথায় কেমন ভোট হচ্ছে বুথে বুথে ঘুরে দেখছিলেন। মন্তেশ্বরের টুল্লা গ্রামে বিক্ষোভের মধ্যে পড়েন দিলীপ ঘোষ। টুল্লাতে দিলীপের গাড়ির সামনে আচমকাই শুয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। বচসা থেকে শুরু হয় ঝামেলা। প্রার্থীর গাড়ি ঘিরে ধরেন গ্রামবাসীরা। সংবাদমাধ্যমের গাড়িও ভাঙচুড় করা হয়। দিলীপ ঘোষ জানান, সকাল থেকে বিজেপির এক এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে। খবর পেয়েই ছুটে এসেছেন তিনি। এরপর বর্ধমান উত্তরের ২০৪ নং বুথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দিলীপ। আহত হন দিলীপ ঘোষের ২ নিরাপত্তারক্ষী । কনভয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়িতেও ভাঙচুড় চালানো হয়।
কৃষ্ণনগরের পলাশিপাড়া
ইভিএমের বোতাম টিপলেই বিজেপিতে ভোট পড়ছে। ভোটের দিন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠে কৃষ্ণনগরের পলাশিপাড়ার ৫৯ নং বুথে। প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। বন্ধ করে দেওয়া হয় ভোটগ্রহণ। ইভিএম এর ২ নম্বরে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের নাম ছিল। ঠিক তার পরেই তিন নম্বরে ছিল তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর নাম।
নদিয়ার চাপড়া
চাপড়ার বিধানসভার সোনপুকুর দাস পাড়ায় সিপিআইএম ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ৯ ও ১০ নং বুথের ঘটনা। অভিযোগ ছিল শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বোলপুর হরগৌরিতলা
ভোটে রিগিংয়ে বাধা দিয়ে ছিলেন। বিজেপি নেতা কাঞ্চন ঘোষ বুথ থেকে বের হতেই বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠল বোলপুরের হরগৌরিতলায়। প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর তাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ১২ নং ওয়ার্ডের পোলিং এজেন্ট ছিলেন কাঞ্চন।
ফুলিয়ার বেলেমাঠ
নির্বাচন শেষ হতেই অশান্ত হয়ে ওঠে শান্তিপুর থানার ফুলিয়ার বেলেমাঠ। মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় এক বিজেপি কর্মীর। আক্রান্ত বুথ সভাপতি সুব্রত ঘোষও। প্রতিবাদে পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও বিজেপির।
সারাদিন কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনার পর রাত পৌনে ১২ টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ৬৭.২৫ শতাংশ জানাল নির্বাচন কমিশন। তবে এটা গোটা দেশের হিসেবে। চতুর্থ দফায় সবথেকে বেশিভোট পড়ল বাংলায়, ৭৮.৩৭ শতাংশ। সবথেকে কম ভোট পড়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। যদিও ৩৭.৯৮ শতাংশ ভোট ঝুলিতে ভোরে গত ১ দশকে প্রাপ্ত ভোটের হারে নজির গড়ল উপত্যকা
Discussion about this post