ঘাটালের তিনবারের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবের বিরুদ্ধে এবার ‘দাদাগিরি’র অভিযোগে সরব হলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। মদনের কথায়, “দেবকে আমি অনুরোধ করব, তুমি সিনেমায় ছিলে তো! সিনেমায় তুমি এক নম্বর। আস্তে আস্তে সিনেমা ছেড়ে রাজনীতির আঙিনায় তোমাক পদক্ষেপটা বেশি হয়ে যাচ্ছে। এতে তোমারও ক্ষতি, বাংলারও ক্ষতি।”
ঘটনার সূত্রপাত কিছুদিন আগে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় যেখানে নিউটাউনের এক রেস্তোরাঁর মালিককে চড় মারতে দেখা গিয়েছে সোহম চক্রবর্তীকে। সেই ঘটনার পর সেই রেস্তোরার মালিক গোটা ঘটনার একাধিক সিসিটিভি ভিডিয়ো ফুটেজ প্রকাশ্যে এনেছেন। বয়ান দিয়েছেন গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা করে। এমনকি নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাল্টা এফআইআর করেছেন সোহমও। এই বিষয়ে সোমবার বন্ধু সোহমের বিরোধিতা করেন দেব। এবার গোটা ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মদন মিত্র। রেস্তোরাঁ কান্ডকে অতীব সাধারণ বলে মন্তব্য মদনের। মদন জানিয়েছেন এই নিয়ে এত লাফালাফি করার কিছু নেই। এরপরই দেবকে নিয়ে চাঁচাছোলা মদন মিত্র।
চড়কাণ্ডে সোহমের পাশে নেই দেব, তা যেন মানতেই পারলেন না মদন মিত্র। তিনি বলেন, “সিনেমা না করলে কোনদিন সাংসদ হতেই পারত না। ওঁর মতো অনেক ছেলে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে যাঁরা কেউই সাংসদ হতে পারেননি। তাঁকে তাই বলব এসব নোংরা রাজনীতিতে না জড়িয়ে সংসদে যান আর সিনেমা করুন।’ তাঁর দাবি, সমালোচনার নামে আসলে ‘দাদাগিরি’ করছেন দেব। রাজনীতিতে দেব অতিসক্রিয় হয়ে উঠছেন বলেও কটাক্ষ করেছেন মদন। মদনের সংযোজন,”এই সোহমকে আমি দেখিনি। তবে সোহমের পাশে দাঁড়ানো নয়, ভুল করেছো, ক্ষমা চেয়ে নাও না বলে কঠিন সমালোচনা করেছেন দেব। ওটা দাদাগিরি হয়ে গেল। সোহমকে কিছু বলার দরকার হলে দল আছে, দলের কোর কমিটি আছে, অভিষেক-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন।”
তবে এ ব্যাপারে দেবের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। হঠাৎ করে কামারহাটির বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক কেন ঘাটালের সাংসদের সমালোচনায় সরব হলেন, তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
মদনের আরো দাবি, সোহমের মতো ভালো ছেলে হয় না। প্রয়োজনে টলিউডের হরলিক্স বয়কে জামিন পর্যন্ত করাবেন তিনি। তবে মদন যতই সোহমকে সমর্থন করুন নাম না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু গোটা ঘটনার বিরোধিতা করেছেন।
Discussion about this post