রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলিতে আংশিক ভাবে কাজে ফিরলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ৪২ দিনের কর্মবিরতি শেষে আরজি কর সহ সব হাসপাতালেই ইমার্জেন্সি বিভাগ পুরোদমে চালু হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও আউটডোরে রোগী দেখছেন সিনিয়ররাই। রাজ্য সরকার কয়েকটি শর্ত মানলে তবে আউটডোরে ফের কাজে ফিরবেন বলেই জানিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই আবহে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানালেন নির্যাতিতার মা। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম শুনানি তার আগে রাজ্যের তরফে দেওয়া প্রতিশ্রুতির আশানুরুপ পদক্ষেপ না হলে ফের বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে। তাঁদের বক্তব্য, ‘শুধু আশ্বাসে ভুলছি না।’ রাজ্য প্রাসনকে তাঁদের সরাসরি হুঁশিয়ারি, যদি সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত সরকারের পদক্ষেপ নজরে না পড়ে, তাহলে ফের কর্মিরতি শুরু করা হবে’।শুক্রবার ১১ দিনের মাথায় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না তোলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দুপুরে স্বাস্থ্য ভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতর পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। শুক্রবার কলকাতায় মশাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তায় মশাল হাতে হাঁটেন বহু সাধারণ মানুষ। যোগ দেন খ্যাতনামীরাও। মশাল মিছিলে যোগ দেন নির্যাতিতার পরিবারও।
গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফটে ছিলেন আর জি করের তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
Discussion about this post