শুক্রবার গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। সিবিআইয়ের পর ইডির মামলাতেও জামিন পান বীরভূমের দুঁদে তৃণমূল নেতা অনুব্রত। সোমবার রাতে তিহাড়-মুক্তি ঘটে তাঁর। এরপর রাতেই দিল্লি থেকে কলকাতার বিমান ধরেন। রাত ২টো বেজে ২০ মিনিটের কলকাতা এসে পৌঁছন তিনি। সাড়ে ৪টের কিছু আগে কলকাতায় অবতরণ করে সেই বিমান। দুই বছরেরও বেশি সময় পরে বীরভূমে ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে এবং তারপর প্রায় দেড় বছর দিল্লিতে তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। তিহাড় থেকে মুক্তির পর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের সঙ্গে সোমবার রাতের বিমানেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার ভোরে পৌঁছন কলকাতায়। দমদম বিমানবন্দরে অবতরণের পর ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ সোজা বীরভূমের উদ্দেশে রওনা দেন অনুব্রত। সঙ্গে ছিলেন সুকন্যা এবং অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ আরও কয়েক জন নেতা। সকাল ৯টা নাগাদ সড়কপথে বর্ধমান হয়ে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে ফেরেন তিনি। বর্ধমান হয়ে বোলপুর ফেরার পথে মাঝে একবার দাঁড়িয়েছিল অনুব্রতর গাড়ি। সেইসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তৃণমূল নেতা জানান, তিনি আদালতকে সম্মান করেন এবং আইন মেনে চলেন। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। বরাবর তাঁর সঙ্গেই থাকবেন। অনুব্রতর ঘর ওয়াপসিতে একপ্রকার উৎসবের মেজাজ বোলপুরে। তিনি ফেরার আগে থেকেই তাঁর নীচুপট্টির বাড়ি ঘিরে যেমন ছিল নিরাপত্তা, তেমনই চোখে পড়ার মতো ছিল কর্মী-সমর্থকদের ভিড়। তাঁদের দিকে তাকিয়ে আবেগে ভাসলেন অনুব্রত। বাড়ির সামনে সকাল থেকেই অপেক্ষা করছিলেন বোলপুর-সিউড়ির বিধায়করা। তবে অনেকেই কেষ্টর ঘরে ঢুকতে পারলেও, সেখানে প্রবেশের অনুমতি পেলেন না এই দু’ জন। সূত্রের খবর রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিকাশ রায়চৌধুরীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। দু বছর আগে যেভাবে ভিড় ঠেলে কোনওক্রমে তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই, এ দিনও ঠিক একই ভাবে ভিড়ের মধ্যে দিয়েই কোনওক্রমে বাড়িতে ঢোকেন অনুব্রত৷ বাড়িতে ঢুকেই দরজায় দাঁড়িয়ে কর্মী, সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ান অনুব্রত মণ্ডল, নমস্কারও করেন৷ সকালে প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে স্বাগত জানাতে বোলপুরের রাস্তাজুড়ে দলীয় কর্মীরা ভিড় করেছিলেন ৷ তাঁদের হাতে অনুব্রতর ছবি পোস্টার ৷ নেতার বাড়ি ফেরার উচ্ছ্বাসে নকুলদানা বিলি করেছেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ৷ সবুজ আবির খেলে, শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনিতে স্বাগত জানানো হয় প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে ৷ তিনি এলাকায় ঢুকতেই শাঁখ বাজাতে থাকেন মহিলারা। এদিকে ঘটনাচক্রে মঙ্গলবার জেলায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি৷ অনুব্রতর সঙ্গে দেখা হত পারে তৃণমূল সুপ্রিমোর৷ এই প্রসঙ্গে অবশ্য দিদির ‘কেষ্ট’ বলেন, “শরীর যদি ঠিক থাকে, তাহলে দিদির সঙ্গে দেখা হতে পারে ৷” এতদিন পর চেনা মানুষদের দেখে স্বাভাবিকভাবেই আবেগঘন হয়ে পড়েছেন কেষ্ট ও সুকন্যা। চেয়ারে বসে চোখের জল মুছতে দেখা গেল দাপুটে নেতাকে। কেঁদে ফেললেন অভিমানী সুকন্যাও।
উপলক্ষ্য ছিল ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা। কিন্তু মুর্শিদাবাদে যা হল সেটা তার থেকেও বড় কিছু। যেখানে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন...
Read more
Discussion about this post