এতদিন ধরে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হয়ে আসছিল সকাল থেকে। তবে সোমবার সেই মামলাটি সকালে শোনা হয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার দুপুর ২টোয় মামলাটি শোনেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এই বেঞ্চে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের পাশাপাশি ছিলেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্র। এই মামলার গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের উদ্দেশে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছিল। প্রথমত, প্রতি হাসপাতালে প্রশাসনিক, নার্স ও ডাক্তার, কর্মীদের নিয়ে একটি করে তদারকি কমিটি গঠন। দ্বিতীয়ত, একটি গোপন অভিযোগ সংক্রান্ত কমিটি গঠন। তৃতীয়ত, যৌন হেনস্তা সংক্রান্ত একটি অভ্যন্তরীণ অভিযোগ মীমাংসা কমিটি এবং শেষোত ডাক্তারদের কাজের চাপ মুক্তির জন্য একটি কাউন্সেলিং সেন্টার গঠন করতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ ছিল, ৭ থেকে ১৪ কর্মদিবসের মধ্যে নিরাপত্তা সহ অন্যান্য সুযোগসুবিধার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে।এই ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া কত দূর এগোল তা সিবিআইয়ের কাছে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। তাদের থেকে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ দেখতে চান সু্প্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। কারা তদন্তের অধীনে রয়েছেন সেই নামের তালিকাও আদালতে জমা দেওয়ার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। স্টেটাস রিপোর্ট দেখে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন,’সিবিআই তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিড উঠে এসেছে। তারা তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাক।’ ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতা চশমা পরে থাকার ফলে ক্ষত বেশি হয়েছে। এদিকে, এরপরই সেই স্টেটাস রিপোর্ট পড়ে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ঘুমন্ত অবস্থায় সাধারণত কেউ চশমা পরেন না, তাহলে ঘুমন্ত অবস্থায় চিকিৎসকের চোখে চশমা ছিল কেন? একজন যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন তাঁকে চশমা পরা অবস্থায় কী করে পাওয়া যেতে পারে? ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় এটা কীভাবে সম্ভব? প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। এদিকে, আইনজীবীর তরফে জানানো হয়, সিজার লিস্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, মৃতের পাশে চশমা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। আইনজীবী বলেন, হয়তো বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন চিকিৎসক। এরপরই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ কত দূর এগোল, সেই প্রশ্নও করেছেন প্রধান বিচারপতি। এ নিয়ে রাজ্যের জবাব পাওয়ার পরে সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজ শেষ করার সময়সীমাও বেঁধে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। জুনিয়র ডাক্তারেরা কেন সব পরিষেবার কাজ করছেন না, সেই প্রশ্নও তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
বাংলাদেশের পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে মেজর সুমন আহমেদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কি বাংলাদেশ...
Read more
Discussion about this post