ধর্মতলা থেকে গত সোমবার অনশন তুলে নেওয়ার সময় শনিবার কনভেনশনের ডাক দিয়েছিল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। এতদিন কোনও সমস্যা না থাকলেও হঠাৎই জেলার মেডিকেল কলেজের কনভেনশনের হলের বুকিং ক্যান্সেল করে দেওয়া হয় শুক্রবার। এমন ঘটনা ঘটেছে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে। কল্যাণী জেনএনএমে এই গণ কনভেনশনের আয়োজন করেছিল রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। রেসিডেন্ট ডাক্তারদের এই সংগঠনকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন সদ্য হওয়া দুর্যোগের কারণে তাদের হল বুকিং ক্যান্সেল করা হয়েছে। গণ কনভেনশনে প্রচুর বিদ্যুতের সরঞ্জাম ব্যবহার হবে। প্রাকৃতির দুর্যোগের কারণে তাতে বিভ্রাট হতে পারে। বিষয়টিকে মাথায় রেখে, ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কায় এসি, লাইট ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই কারণে এই অনুমতি প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। তবে, এই কারণকে একেবারেই ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাগিয়েছেন ডাক্তাররা। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের সদস্য অর্জুন দাশগুপ্ত বলেন, “বলা হয় দানার কারণে কনভেনশন বাতিল করা হচ্ছে। দানা হয়ে গেছে, অন্য দিকে চলে গেছে এখন কনভেনশন বাতিলের কী কারণ আমরা প্রশ্ন করছি।” এছাড়াও কোনও জাদুবলে ওইদিন কল্যাণী অন্যান্য হলেও বুকিং-এর অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগ হেনস্থা করতেই কেউ বা কারা ‘কলকাঠি নাড়ছে’। জুনিয়র ডাক্তারদের সাথে নবান্নে বৈঠকের সময় কলেজ কাউন্সিলের কার্যকলাপকে পাল্টা থ্রেট কালচার বলে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে অনিকেত মাহাতো বারবার তার বিরোধিতা করেন। বৈঠক শেষ হলেই সামাজিক মাধ্যমে এই কথোপকথন বিতর্ক উসকে দেয়। যদিও বৈঠকের পর সেই রাতেই অনশন তুলে নেন ডাক্তাররা।কিন্তু ঠিক এরপরেই ফের থ্রেট কালচারের অভিযোগ আসতে শুরু করল। নবান্নের বৈঠকের পরদিনই হঠাৎই হাইকোর্টের নির্দেশে খারিজ হয়ে যায় আরজিকরের ৫১ জনের সাসপেনশন। যদিও হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্ত নেয়নি, সিদ্ধান্তের দায়িত্ব কার্যত রাজ্য সরকারকেই দেওয়া হয়। এই নির্দেশের পেছনেও মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমতার হাত দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। এই ভাবনা আবারও উসকে দিল শুক্রবারের ঘটনা। প্রসঙ্গত কল্যাণী জেএনএম থেকেই এমবিবিএস পাশ করেছিলেন আরজিকরের নির্যাতিতা, আর সেখানেই এমন ঘটনা পুনরায় থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছে।
কুয়াশায় ঢাকছে গোটা রাজ্যের ভোরের আকাশ। বইছে উত্তুরে হাওয়া। ক্রমশ কমছে তাপমাত্রা। দিনভর হিমেল আবহাওয়া থাকলেও, ভোরে ও সন্ধেয় অনুভূত...
Read more
Discussion about this post