বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কটের জন্য দায়ী আমেরিকা। তাদের ষড়যন্ত্রেই ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামি লিগ। দেশে মৃত্যুমিছিল রুখতেই পদত্যাগ করেছেন তিনি। ভারতে আসার ছয়দিন পর নীরবতা ভেঙে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামি লিগ নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দখল নিতে না দেওয়ায় তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার দাবি, বঙ্গোপসাগরে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিল। সম্প্রতি এক বার্তায় হাসিনা বলেছেন, আমি পদত্যাগ করেছি, যাতে আমার দেশে লাশের মিছিল দেখতে না হয়। শিক্ষার্থীদের লাশের ওপর দিয়ে তারা ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি তা হতে দেইনি। তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। ‘আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম, যদি আমি সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সার্বভৌমত্ব ছেড়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বঙ্গোপসাগরে কর্তৃত্ব স্থাপন করতে দিতাম।’ শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমি যদি দেশে থাকতাম, তাহলে আরো প্রাণ হারিয়ে যেতো, আরো সম্পদ ধ্বংস হতো। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই আমি দেশত্যাগের মতো অত্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এখন আমি আমার দেশের জনগণকে বলতে চাই, দয়া করে মৌলবাদীদের দ্বারা প্রতারিত হবেন না।’ সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দখল চেয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাজি হননি শেখ হাসিনা। আর সেই রাগেই চক্রান্ত করে বাংলাদেশের সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে। দেশ ছাড়ার পর প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই এমন দাবি তুলেছেন শেখ হাসিনা। ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে বার্তা দিয়েছেন তিনি। সেখানেই তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশ অধীনস্থ এই ছোট্ট দ্বীপে ঘাঁটি করতে চেয়েছিল আমেরিকা। তিনি সেটা না করাতেই তাঁকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা এর আগেও বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের কিছু অংশ নিয়ে পূর্ব তিমুরের মতো খ্রিস্টান দেশ তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, একজন শেতাঙ্গ ব্যক্তি তাঁকে এই দ্বীপ নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যদি ওই ব্যক্তিকে তিনি বাংলাদেশের এই দ্বীপে বিমানঘাঁটি তৈরির অনুমতি দেন তবে বিনা বাধায় এই বছরের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামি লিগ জিতে যাবে। যদিও হাসিনা সে সময় সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নাম নেননি। তিনি বলেছিলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকেই উপসাগর ও ভারত মহাসাগরের মাধ্যমে বাণিজ্য হয়ে আসছে। এই নির্দিষ্ট জায়গাটার দিকে অনেকের নদর রয়েছ। এখানে কারও মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। আমি সেটা হতে দিইনি। আর এটাও আমার একটা অপরাধ হয়ে গিয়েছে।’ এই দ্বীপটি হাতে পেলে আমেরিকা বঙ্গোপসাগরে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হত। সেন্ট মার্টিন নিয়ে সংসদে আগেও ইঙ্গিত দিয়ে ছিলেন শেখ হাসিনা। সেন্ট মার্টিনে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে চায় আমেরিকা। ওই ঘাঁটি তৈরি হলে দক্ষিণ পূর্ব এসিয়ায় আমেরিকার কর্তৃত্ব বাড়ত তাতে ভারতের মাথাব্যথার কারণ ছিল। সমস্যা ছিল চিনেরও। এদিকে শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হবার পর উঠে এসেছে প্রায় ৫০০ কোটি আমেরিকান ডলার আত্মসাৎ করার বিস্ফোরক তথ্য। অভিযোগ, তিনি এই বিপুল টাকা আত্মসাৎ করেছেন। গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। এই প্রতিবেদন প্রকাশ হবার পরেই বাংলাদেশে তীব্র আলোড়ন। প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্তে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন। প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া ছাত্র আন্দোলন। ধীরে ধীরে পরিণত হয়েছিল শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে গণ আন্দোলনে। যা শেষপর্যন্ত সামাল দিতে পারেননি শেখ হাসিনা। যার জেরে সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। কিন্তু সূত্র বলছে, পদত্যাগের কিছুক্ষণ আগে অবধি অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও আরও রক্তপাতের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে মেজর সুমন আহমেদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কি বাংলাদেশ...
Read more
Discussion about this post