গ্রেফতার করা হল বাংলাদেশের ইসকন এর চিন্ময় দাসকে। সোমবার ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ বিকেল ৫টা নাগাদ গ্রেফতার করেন চিন্ময় দাসকে। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে বারবার হিন্দুদের উপর আক্রমণ। এর প্রতিবাদে কলকাতায় মিছিল করে শুভেন্দু অধিকারী। সেই মিছিল থেকে ইউনূসকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতার এবং তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ঘটনায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় প্রতিবাদে সরব। তাঁর মুক্তির দাবিতে আন্দোলন ক্রমেই বাড়ছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলেও এই ঘটনা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। মঙ্গলবার তাঁকে চট্টগ্রাম জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, চিন্ময় প্রভুর পক্ষে সওয়াল করতে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির হয়েছিলেন ৫১ জন আইনজীবী। এবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন খারিজ করল বাংলাদেশের আদালত। ইসকনের সন্ন্যাসীকে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকা অবমাননা মামলায় মঙ্গলবার সকালে তাঁকে চট্টগ্রামের নিম্ন আদালতে তোলা হয়। চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত তাঁর জামিন খারিজ করে। সোমবার সন্ন্যাসীর গ্রেপ্তারির পর মঙ্গলবার জামিন খারিজ হওয়ায় সনাতনীদের ‘কণ্ঠরোধে’ অভিযোগ উঠছে। আদালতের নির্দেশ তিনি বন্দি থাকাকালীন যেন সমস্ত ধর্মীয় সুযোগ-সুবিধা পান। ইতিমধ্যেই প্রতিবাদে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ইসকনও। তাদের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি দিক বাংলাদেশ সরকার, দাবি ইসকনের। এদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়, চিন্ময় প্রভু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, হিন্দুদের যেন তাঁদের পরিকল্পিত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যান। সোমবার তাঁর গ্রেফতারির পর থেকেই, ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে অশান্তিও বাঁধে। বাংলাদেশের পুণ্ডরিক ধামের সভাপতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বাংলাদেশে গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের জন্য রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এই একই অভিযোগে অভিযুক্ত আরও ১৮ জন সংখ্যালঘু হিন্দু। কৃষ্ণ দাস প্রভ বা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের লড়াইয়ের অন্যতম মুখ। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের একজন সদস্য। হাসিনা সরকারের পতনের পর সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ করেন।সংখ্যালঘুদের ঢাল হয়ে দাঁড়ান। ইতিমধ্যেই নিজের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস জানান, আমি কিছু কথা বলতে চাই। আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়েছে। জাতীয় পতাকা অবমাননার মামলা করা হয়েছে। আমরা বিগত ৫ অগস্টের পরে সনাতনী জনগোষ্ঠীর উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার বন্ধ করার জন্য এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য। আমি মাঠে নেমেছি। আমরা সুশৃঙ্খল ভাবে আট দফা দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন জারি রেখেছি। বিগত শুক্রবার সকলের সহযোগিতায় প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত করেছিলাম। আমাদের কোন কর্মসূচি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়, কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়, কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে নয়।
বাংলাদেশের পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে মেজর সুমন আহমেদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কি বাংলাদেশ...
Read more
Discussion about this post