বাংলাদেশের ভিসা সহজে পেয়ে যাবেন পাকিস্তানিরা। বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে কোনও পাকিস্তানের নাগরিক যদি বাংলাদেশে যেতে চান, তাঁদের ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা হবে না। সব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস এবং উপদূতাবাসে এমনটাই নির্দেশ পাঠিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশাসন। পাকিস্তানিদের বাংলাদেশে প্রবেশ যাতে আরও সহজ এবং ঝঞ্ঝাটমুক্ত হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিকিউরিটি সার্ভিস ডিভিশন থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বিদেশমন্ত্রকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানিদের জন্য যেন বাংলাদেশের ভিসা পাওয়া সহজ করা হোক। এই নির্দেশ সমস্ত বাংলাদেশি দূতাবাস এবং ডেপুটি হাই কমিশনগুলোর জন্য জারি করতে হবে। যাতে যেকোনও জায়গা থেকেই পাকিস্তানিরা সহজে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারেন।’ এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত। আশঙ্কা, এবার পাক জঙ্গিদের আখড়া হয়ে উঠবে ঢাকা? এদিকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। পদ্মাপাড়ের আঁচ পড়েছে ভারতে। উদ্বিগ্ন কেন্দ্র সরকার। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধার করতে শান্তিরক্ষা বাহিনী পাঠাতে কেন্দ্রকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতি এবার বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। ভারতের তরফে সরকারিভাবে এই নিয়ে এখনও কোনও ঘোষণা হয়নি। সংখ্যালঘুদের ‘বাঁচাতে’ ই কি এই পদক্ষেপ নয়াদিল্লির? এই মুহূর্তে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারত, ব্রিটেনের মতো দেশ। চিন্ময়ের পরেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে একাধিক সন্ন্যাসীকে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে ভারতীয় হিন্দু জানলেই তাঁদের উপর বেড়ে যাচ্ছে অত্যাচার। বিপন্ন গণতান্ত্রিক কাঠামো। এর মাঝেই হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে গিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে ত্রিপুরার আগরতলার বাংলাদেশি ডেপুটি হাই কমিশনে। ভারতের উপর চাপ বাড়াতে গতকাল মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রকে ডাক পড়ে প্রণয় বর্মার। এই আবহে আজ জানা গেল আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় যেতে পারেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। বাংলাদেশের সংবাদ সংস্থা বিএসএস নিউজ এজেন্সির রিপোর্ট অনুসারে বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য়ে ঢাকাতে হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, আমরা ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। দুপক্ষই এটা চান, আমাদের এটার জন্য় কাজ করা উচিত। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পরে এটাই প্রথম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে। সোমবারই ভারতের বিদেশ সচিব বাংলাদেশে যেতে পারেন বলে খবর। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চরম উত্তেজনার মধ্য়ে এদিন নরম সুর শোনা গিয়েছে তৌহিদ হোসেনের মুখে। তিনি বলেছেন, “স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই।” তিনি আরও বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ, দুই দেশের স্বার্থেই দুই দেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকা উচিত। দুই পক্ষকেই তার জন্য উদ্যোগী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। একাধিক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রির সঙ্গে ভারতের এক প্রতিনিধি দল আসবে ঢাকায়। অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন সেই দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব, মহম্মদ জসিম উদ্দিন। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলা এবং চিন্ময় দাসের গ্রেফতারি নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইউনূস প্রশাসনকে বারবার বার্তা দিচ্ছে ভারত। তাতে বিশেষ কোনও হেলদোল দেখা যায়নি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। ভারত যখন বাংলাদেশের হাইকমিশন ও ডেপুটি হাইকমিশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করেছে। তখন বাংলাদেশের তরফে তেমন কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ করেছে ভারত। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশও করেছে। তারপর বার্তা পাঠায় বাংলাদেশ। ওই ঘটনায় ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় ভার্মাকে ডেকে পাঠায় বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। এই আবহে বাংলাদেশে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব। তবে নয়াদিল্লি এখনও চলতি মাসে বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফর নিয়ে চূড়ান্ত কথা দেয়নি। এখন দেখার, বাংলাদেশের দাবি শুনে কী জবাব দেয় মোদী সরকার।
বাংলাদেশের পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে মেজর সুমন আহমেদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কি বাংলাদেশ...
Read more
Discussion about this post