দ্বিতীয় বারের জন্য আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ফের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন রিপাবলিকান নেতা। এর আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন চলাকালীন গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরে হওয়া অত্যাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। তার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে বাংলাদেশের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা ধরনের জল্পনা শুরু হয়েছে।সম্প্রতি আওয়ামি লিগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছিল, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।” তাতে আরও জানানো হয়েছিল, “ট্রাম্পের অসাধারণ নেতৃত্বের গুণাবলী”র প্রশংসা করেছেন হাসিনা। তিনি আরও বলেছেন, এই রিপাবলিকান নেতার প্রতি অগাধ আস্থা রেখেছে মার্কিন জনগণ। ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে, বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। হাসিনার এই বার্তাকে কেন্দ্র করে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তাহলে কি বাংলাদেশে কোনও নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে? সম্প্রতি, ইউনুসের প্রেস সচিব জানিয়েছিলেন, মার্কিন নির্বাচনে যেই জিতুক, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মার্কিন সরকারের সম্পর্কে তার কোনও প্রভাব পড়বে না। তবে, অতীত বলছে ইউনুসের সঙ্গে ডেমোক্রেটিক নেতাদের সম্পর্ক বরাবরই ভাল। উল্টো দিকে, ২০১৬ সালে সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে, ইউনুস বলেছিলেন, তাঁদের রাজনৈতিক মতাদর্শ সম্পূর্ণ আলাদা। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পকে দেওয়াল না গড়ে, দৃষ্টিভঙ্গী আরও উদার করে সেতু গড়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর হামলার প্রতিবাদ করে টুইট করেছিলেন ট্রাম্প। বাইডেন প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও, ট্রাম্প যে বাংলাদেশ সরকারকে এই বিষয় নিয়ে ছাড় দেবেন না, তা স্পষ্ট। তাছাড়া, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বাইডেন। ট্রাম্প কিন্তু মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশে এখন চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা চলছে। তিনি যে ইউনুসের সরকারকে ভাল চোখে দেখছেন না, তা এই মন্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে, হাসিনার এই শুভেচ্ছাবার্তা এল। আওয়ামি লিগ জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের সময়, তাঁর সঙ্গে একযোগে কাজ করার কথা স্মরণ করেছেন শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক স্বার্থগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ফের একযোগে কাজ করার বিষয়ে তাঁর অঙ্গীকারও প্রকাশ করেছেন হাসিনা। ভবিষ্যৎ নিয়ে হাসিনার এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তারমধ্যেই কিছুদিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা নিয়ে সমালোচনা শুরু করেন। হিন্দুদের উপর সেখানে যে অত্যাচার হচ্ছে তা নিয়ে সরব হন তিনি। তিনি লেখেন, ‘আমি হিন্দু, খ্রিস্টান এবং অন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বর্বর সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাই। এই মানুষগুলোর উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। লুটপাট চলছে। সবটা একটা বিশৃঙ্খলা। আমি থাকলে এটা হত না। কমলা এবং জো সারা বিশ্বে এবং আমেরিকায় হিন্দুদের উপেক্ষা করেছে।’ প্রসঙ্গত, গত ৫ অগাস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ভারতে আশ্রয় নেন তিনি। অনেকেম মতে, ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশের এই অবস্থা হত না। হাসিনা সরকারের পতনও হত না। কারণ হাসিনার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক ভালো। তাঁর আমলে বাংলাদেশ-আমেরিকার ভালো বোঝাপড়াও গড়ে উঠেছিল।
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র পহেলগাঁওয়ে এক ভয়াবহ জঙ্গিহানা হয়। জঙ্গিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন পর্যটক।...
Read more
Discussion about this post