বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বাংলাদেশে সম্প্রতি ঘটে চলা সাম্প্রদায়িক হিংসা, বিশেষত সেদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন জয়শঙ্কর। বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রায় ২০০টি হামলার অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের ১৭০ মিলিয়ন জনসংখ্যার মাত্র ৮ শতাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের, যারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। সম্প্রতি ঢাকায় হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতার করার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। চিন্ময় কৃষ্ণের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়, যা নিয়ে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামেও সহিংস প্রতিবাদ হয়। চিন্ময়ের জামিন নাকচ হলে পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়ে ওঠে। চট্টগ্রামের একটি আদালতের বাইরে বিক্ষোভ চলাকালে হিংসার সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে একজন মুসলিম আইনজীবী নিহত হন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ দলের অন্তত ৩০ জন সদস্যকে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ইসকনকে “ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন” আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করার জন্য একটি রিট পিটিশন দাখিল করেছে। এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের এই বৈঠক বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকার ইঙ্গিত দেয়। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে এই ধরনের হিংসার প্রতি ভারতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা স্বাভাবিক। তবে ইসকন সংক্রান্ত বিতর্ক এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের প্রসঙ্গ ভারতের পররাষ্ট্রনীতির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান হিংসার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জনসংখ্যার মাত্র ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। কিন্তু ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছে তাঁদের সুরক্ষা। প্রায় ২০০ টির বেশি হামলার সম্মুখীন হয়েছে সংখ্যালঘুরা। কিছুদিন আগেই, অক্টোবরে এক সমাবেশে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ঢাকা বিমানবন্দরে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তারপরেই নতুন করে অশান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। কোর্ট তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।চট্টগ্রামে আদালতের বাইরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে এক মুসলিম আইনজীবী নিহত হয়েছেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ছয় সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ইস্কনকে ‘ধর্মীয় মৌলবাদী সংগঠন’ বলে অভিহিত করে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিল ইউনূস সরকার। যদিও সেই দাবি খারিজ হয়ে গিয়েছে হাই কোর্টে।
বাংলাদেশের পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে মেজর সুমন আহমেদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কি বাংলাদেশ...
Read more
Discussion about this post