বর্তমানে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। একদিকে গণঅভ্যুত্থানের জেরে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ অন্যদিকে ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময় দাসের গ্রেফতারি। আরও জোরদার হয়েছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন। এমন পরিস্থিতিতে ভারত বিরোধী জিগির তুলে দিয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা আরও উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে প্রতিবেশি দেশের জামাত সহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনগুলি। কখনও কলকাতা দখল তো কখনও আগরতলা অভিযানের মতো ভারত বিরোধিতার জিগির তুলে দেশের রাজনৈতিক মহলে জনপ্রিয়তা বাড়াতে চাইছে বিএনপির মতো দলগুলি। এই অকারণে যুদ্ধের জিগির স্বাভাবিক ভাবেই উত্তপ্ত করেছে প্রতিবেশি দুই দেশের সম্পর্ক। স্বাভাবিকভাবেই সীমানায় চাপ বাড়ছে। অনুপ্রবেশের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই আবহে এবার মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তেও চরম উত্তেজনা। মঙ্গডাও এলাকায় মায়ানমার সেনার আউটপোস্ট দখলের দাবি করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। মায়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তে ২৭১ কিমি এলাকা দখলের দাবি করা হয়েছে। আগেই মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের একাংশ দখল করেছে আরকান সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এবার বাংলাদেশ সীমান্তে মায়ানমার সেনার আউটপোস্ট দখলের দাবি। মায়ানমারের রাখিন সম্প্রদায়ের সামরিক বিভাগ হচ্ছে আরাকান আর্মি। ২০০৯ সালে যার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রাক্তন ছাত্র-সমাজকর্মী তোয়ান ব়্যাট নেইঙ্গ। জেড খনিতে কর্মরতদের থেকে প্রথম দফায় যোদ্ধা নিয়োগ করে এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই সেনা উত্তর মায়ানমারের কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির কাছে আশ্রয় চায়। ২০১৯ সালে স্বাধীনতা দিবসের দিন রাখিন প্রদেশের চারটি থানায় হামলা চালায় এএ। এরপরই জঙ্গিদের নিকেশ করতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেন আং স্যান সু কি। যদিও পরে উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। একই অবস্থা সেন্ট মার্টিনেও। সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে কেন্দ্র করে এই ধরনের ঘটনা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করছে দুটি কারণে। এর একটি হচ্ছে আরাকান রাজ্যে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির ক্রমাগত সাফল্য। অন্যটি হচ্ছে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বিষয়ে প্রাক্তন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ রাজনীতিবিদের কথাবার্তা।গত কয়েক মাসে বিদ্রোহীরা আরাকান রাজ্যের এক বিশাল এলাকা দখল করে নিয়েছে এবং তাদের এ সাফল্য অব্যাহত থাকলে তারা অচিরেই রাজ্যের রাজধানী সিত্তে নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হবে বলে মনে হচ্ছে। এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে তাদের নিশ্চিত করা দরকার যে নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী যেন অগ্রসর হতে না পারে। আরাকান আর্মির পক্ষ থেকে নেওয়া পদক্ষেপ থেকে অনুমান করা যায়, তারা রোহিঙ্গাদের তাদের সমর্থক বলে মনে করছে না। তারা চাইছে, রোহিঙ্গাদের মধ্যকার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো নাফ নদী অতিক্রম করে আরাকানে প্রবেশ করে যেন তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেয়। ফলে নাফ নদীতে চলাচলকারী যেকোনো ধরনের নৌযানের ওপর তারা বিভিন্ন রকম হামলা চালিয়ে তাদের উপস্থিতির জানান দিচ্ছে।
বাংলাদেশের পলাতক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন সম্প্রতি এক ফেসবুক পোস্টে মেজর সুমন আহমেদ এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, ভারত কি বাংলাদেশ...
Read more
Discussion about this post