শেষ হল বাইডেনের জমানা। আমেরিকা পেল নতুন প্রেসিডেন্ট। দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পকে প্রশাসন চালাতে সাহায্য করবে একাধিক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। অর্থাৎ সেইভাবে দেখতে গেলে, ট্রাম্পের এখন বড় ভরসার জায়গা ভারতই। কারা কারা রয়েছেন সেই তালিকায়, চলুন জানা যাক।
২০ জানুয়ারি অবসান হল দীর্ঘ অপেক্ষার। মার্কিন মুলুকে ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে অফিসিয়ালি ক্ষমতায় আসীন হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন একাধিক রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতেরা। ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
রাষ্ট্রপতির লাইনে প্রথম সারিতে যেখানে জয়শঙ্কর বসেছিলেন, একই সারিতে ছিলেন ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতিও। এ থেকেই বোঝা যায় ভারতের গুরুত্ব কতখানি।
ট্রাম্প বক্তব্য রাখার সময়, জয়শঙ্করের দিকে তাকিয়ে সরাসরি সম্বোধন করেন। অর্থাৎ এখানেই স্পষ্ট, বিশ্ব দরবারে ভারত একটি অন্যতম জায়গা করে নিয়েছে। ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে ভারতের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি। আমেরিকার জন্য ভারতও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যেই ভারত বিশ্বের দরবারে একটি প্রভাব ফেলেছে। তারমধ্যেই সামনে এসেছে, ট্রাম্পের প্রশাসনে একাধিক ভারতীয় মুখ।
কস্যাপ প্রমোদ পটেল। এফবিআই ডিরেক্টর পদে ট্রাম্পের পছন্দ। জানা যায়, কশ্যপের গুজরাটি মা বাবা বেড়ে ওঠেন পূর্ব আফ্রিকায়। তারপর তারা আমেরিকায় চলে আসেন। কশ্যপের জন্ম নিউ ইয়র্কে।
হরমিট কৌর ধীলো। চন্ডিগড়ে জন্ম। দু বছর বয়সেই বাবার হাত ধরে আমেরিকায় চলে আসেন। অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ফর সিভিল রাইটস পদে ট্রাম্প মনোনয়ন করেন। মানবধিকার নিয়ে বরাবর সরব তিনি। ২০২০-২১ সালে ভারতের কৃষক আন্দোলনের সমর্থন করেন।
শ্রীরাম কৃষ্ণন। হোয়াইট হাউসের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ক পলিসি এডভাইজার। তিনি চেন্নাই এর ছেলে। তার পড়াশোনা তামিলনাড়ুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। ২০০৫ সাল থেকে আমেরিকায় বসবাস করতে শুরু করেন। ফেসবুক, এক্সের প্রাক্তন কর্মী ইলন মাস্কের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
জয় ভট্টাচার্য। তিনি কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন এক সময়। তারই হাতে স্বাস্থ্যের দায়িত্ব তুলে দিতে চান ট্রাম্প। ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ পদে পছন্দ ট্রাম্পের। উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় আসেন জয় ভট্টাচার্য। তারপরই আমেরিকায় থেকে যান।
অর্থাৎ প্রশাসন চালাতে ভারতের উপর ভরসা রাখতে হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় বার আমেরিকার শাসনে ভারতের সঙ্গে আরো সম্পর্ক গড়ে উঠবে বলে মত রাজনৈতিকবিদদের। এমনকি দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও উচ্চপর্যায়ে যেতে চলেছে তাও স্পষ্ট।
Discussion about this post