১৬ মার্চ মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড তিন দিনের এক গুরুত্বপূর্ণ সফরে দিল্লিতে এসে পৌঁছেছেন। দিল্লিতে পৌঁছে তার একান্ত বৈঠকের পরিকল্পনা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে। এছাড়া এই সফরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা-প্রধানদের এক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন তুলসী।অজিত দোভাল ও তুলসী গ্যাবার্ডের একান্ত বৈঠকে দুই দেশের নানা বিষয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও আলোচিত হবে।
উল্লেক্ষ্য, গত ৫ আগস্টের পর যতবারই ভারত-মার্কিন সবোর্চ্চ স্তরে বৈঠক হয়েছে ততবারই আলোচনায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রসঙ্গ। তাই নয়া দিল্লিতে অজিত ডোভাল ও তুলসী গ্যাবার্ডের মধ্যে সরাসরি বৈঠকের আলোচনাতেও তার কোনও ব্যতিক্রম হবে না তা বলাই যায়।
নয়া প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বসার পর প্রেসিডেন্ট তার সঙ্গে দেখা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তাদের দুজনের বৈঠকে সেখানেও বাংলাদেশ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে।
তা ছাড়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও তার মার্কিন কাউন্টারপার্ট মার্কো রুবিও কিংবা মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক উলজের সঙ্গে বৈঠকেও একাধিকবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন।
ঢাকা ও দিল্লির বর্তমান সরকারের মধ্যে এই কথিত হিন্দু নির্যাতনের ইস্যু একটি অস্বস্তিকর প্রসঙ্গ হিসেবে দেখা দিয়েছে, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বলছে, ভারত সরকার ও ভারতীয় মিডিয়া ক্রমাগত এ বিষয়ে অতিরঞ্জিত ‘প্রোপাগান্ডা’ চালিয়ে যাচ্ছে, বাস্তবের সঙ্গে যার কোনও মিল নেই। যেসব হামলার কথা বলা হচ্ছে, সেগুলোর প্রায় সবই যে চরিত্রে ‘রাজনৈতিক’, সেটিও তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন।
সূত্রের খবর, তুলসীর সঙ্গে বৈঠকে আমেরিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে খলিস্তানপন্থী এবং অন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা করবেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। ভারত এবং আমেরিকা, দুই দেশেরই মাথাব্যথার কারণ সন্ত্রাসবাদ। আন্তর্জাতিক স্তরে সন্ত্রাসবাদ দমন করতে গোয়েন্দা তথ্য গুরুত্বপূর্ণ। দুই দেশই এই ব্যাপারে একে অপরকে সাহায্য করবে বলে একমত হয়েছে ভারত ও আমেরিকা।
প্রসঙ্গত, সারা বিশ্বে হিন্দুরা যেখানেই নির্যাতিত, সেখানে তাদের প্রতি সংহতি ও সমবেদনা প্রকাশে তুলসী গ্যাবার্ড কখনোই দ্বিধা করেননি। এবার আড়াই দিনের সফরে ভারতে এসেছেন তুলসী গ্যাবার্ড।নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। যার আয়োজক ভারত। এই বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে এসেছেন অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, নিউ জ়িল্যান্ডের গোয়েন্দা প্রধানেরাও। সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন তুলসী। এ বার তিনি এলেন ভারতে। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এই প্রথম কোনও শীর্ষস্থানীয় মার্কিন আধিকারিক ভারত সফরে এলেন।
Discussion about this post