ভারতের আশ্রয়ে শেখ হাসিনা। কিন্তু নির্দিষ্ট করে তাকে কোথায় রেখেছে ভারত, সেটা কোনওভাবেই স্পষ্ট করেনি। তবে বাংলাদেশে ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে প্রবেশ করা, শুধু সময়ের অপেক্ষা। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন, আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। তবে কি এবার ইউনূস হাসইনার দিকে ঝুঁকছেন? নাহলে হঠাৎ কেন এই ভোল বদল? নাকি এর পিছনে ইউনূসের ভয় কাজ করছে? এমন নানা প্রশ্ন উঠে আসছে।
এদিকে কিছুদিন আগে ভারত সফর করে গিয়েছেন মার্কিন গোয়েন্দা মহাপরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড। গোপন সূত্রে খবর, তার সঙ্গে নাকি শেখ হাসিনার কথা হয়েছে। এছাড়াও শোনা যাচ্ছে, কিভাবে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফিরবেন, তার পরিকল্পনা করা হয়ে গিয়েছে। এমনকি এও শোনা গিয়েছিল, শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের বৈঠক হয়।
কিন্তু আদেও কি শেখ হাসিনার সঙ্গে অজিত দোভালের বৈঠক হয়েছে? বৈঠক হলেও কি উঠে এসেছে তাদের আলোচনা থেকে? শেখ হাসিনা কি দেশে ফিরবেন? এমন নানা প্রশ্ন উঠে আসছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে যদি দোভালের বৈঠক হয়, তবে তা অতি গোপনে। এটা কোনভাবেই কোনও মাধ্যম জানতে পারবে না। এই সাত মাসে এখনো পর্যন্ত কোনো বৈঠক হয়েছে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বৈঠক হলেও সেটা দুই দেশের জন্য কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে জন্য হতে পারে।
এখন সব থেকে বেশি রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে শেখ হাসিনার দেশে ফেরা নিয়ে। কারণ শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই এবং ভারতে আশ্রয় নিতেই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে তিক্ততা বেড়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকা কড়াকড়ি করতেই দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একাধিক নানা সমস্যা মাথাচাড়া দিয়েছিল। সেই ইস্যুগুলিতে ভারত বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলে দুই দেশের সম্পর্কেও অবনতির দিকে যায়। কাজেই শেখ হাসিনার দেশে ফেরাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, অন্তত ভারতের কাছে।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ভার্চুয়াল বৈঠকে শেখ হাসিনা একাধিকবার বলেছেন, তিনি দেশে ফিরবেন। শুরুর বৈঠকগুলিতে শেখ হাসিনা চাপা হতাশা নিয়ে বললেও শেষ দিকে তিনি খুব আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দেশে ফেরার কথা বলেছেন। অনেকে বলছে, বাড়ছে বাংলাদেশে পা দেবেন হাসিনা। কিন্তু সেটা কতটা সম্ভবনা রয়েছে, বা আদেও নেই, সেই নিয়ে নানা তত্ব খাড়া করেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
Discussion about this post