তৃণমূল মুখপাত্র তথা পানিহাটির কাউন্সিলর সম্রাট চক্রবর্তীকে ভিন রাজ্য থেকে হুমকির ফোন। হুমকির ফোন শুধু দলের মুখপাত্র সম্রাট চক্রবর্তী নয়, রয়েছে আরো দুই কাউন্সিলর। নতুন চেয়ারম্যান সোমনাথ দে শপথ গ্রহণের আগেই তিন কাউন্সিলরকে একের পর এক থ্রেট ফোন কল, যা ঘিরে চাঞ্চল্য পানিহাটিতে।
সোমবারই পানিহাটি পৌরসভার নতুন চেয়ারম্যান সোমনাথ দে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। তার আগেই পানিহাটির তিন কাউন্সিলরকে একের পর এক থ্রেট ফোন কল যা ঘিরে চাঞ্চল্য পানিহাটিতে। যে তালিকায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা পূর্ব পানিহাটি টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সম্রাট চক্রবর্তী। পানিহাটি পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি তথা উপপ্রধান সুভাষ চক্রবর্তী সহ পানিহাটি পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি তথা পৌরপ্রধান পারিসদ সদস্য তাপস দে। উল্লেখযোগ্য ভাবে বলা যায় এই তিন জনকে ১১ ডিজিজের একই নম্বর থেকে ফোন করে থ্রেট দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই খরদহ ও ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খরদা খরদহ ও ঘোলা থানার পুলিশ।
পৌর প্রধান পরিষদ তাপস দে কে ফোন করে বলা হয় সোমবার ১২টার মধ্যে একটি ধাবায় আসতে না হলে তোরটা তুই বুঝে নিবি। পাশাপাশি পানিহাটির ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধির তথা পানিহাটি উপ পৌর প্রধানকে একই ভাবে ফোন করে অশ্রাভ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় এবং তাকে পুরসভায় যেতে নিষেধ করে পরে বলে অভিযোগ। তৃণমূল মুখপাত্র তথা পানিহাটি পৌরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর প্রতিনিধি সম্রাট চক্রবর্তীর অভিযোগ ফোন করে আমাকে আমার বিধায়ক এবং তার পুত্রকে হুমকি দেওয়া হয়। আগামী দিনে আমাকে প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে থাকতে বারণ করা হয়েছে ওই ফোন কলে।
তবে বিষয়টি সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ।
পানিহাটি তিন পৌর প্রতিনিধিকে ফোন কলে থ্রেটের বিষয় সম্পর্কে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার অজয় ঠাকুর বলেন আমরা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছি, আশা করি খুব শীঘ্রই অপরাধী ধরা পড়বে।
Discussion about this post