বাংলাদেশের রাস্তায় এখন শুধু ইউনুসের বিরুদ্ধে মিছিল। হাসিনার দলের হামলা ইউনূসের ঘরেই। আওয়ামী লীগ এবার ঢাকায় তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শন করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে ইউনুস বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পতন হয় আওয়ামী সরকারের। দেশ ছেড়ে ভারতের আশ্রয়ে দলনেত্রী শেখ হাসিনা। দলের শীর্ষ নেতারাও পলাতক। কিছু নেতা জেলবন্দী।
অভ্যুত্থানের পর গত ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশ্যে সেভাবে কার্যক্রম চালাতে দেখা যায়নি দলটির নেতাকর্মীদের। তবে এ বছরের শুরু থেকে ধীরে ধীরে মিছিল শুরু করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। হঠাৎ মিছিল করে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থানকে আবারও দৃঢ় করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তবে সম্প্রতি বেড়েছে আওয়ামী লীগের ‘ঝটিকা মিছিল’। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার নিয়ে, মোটরসাইকেল নিয়ে ‘বিক্ষোভ মিছিল’ শুরু করেছে তারা।
দেখা গেল শুক্রবারও রাজধানীর উত্তরায় মিছিল করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। মিছিল থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে আওয়ামী লীগের তরফে। বিক্ষোভ মিছিলটির একটি ছোট ভিডিও প্রকাশও করেছে আওয়ামী লীগ।
এদিকে একই দাবিতে যাত্রাবাড়ী, ডেমরা আংশিক কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এছাড়াও গত মঙ্গলবার রাজধানীর রামপুরায় ঝটিকা মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। ওই দিন সকালে রামপুরা বিটিভি কার্যালয়ের সামনে থেকে এই মিছিল হয়।
প্রসঙ্গত, এক দিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তুলছেন সেদেশের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। আবার তাদের সঙ্গে অন্যান্য অনেক রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের দাবি, জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা গণহত্যার আসামি। গণহত্যার অভিযোগে দলটিকে আইনি প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
কিন্তু এই বিদ্বেষের আবহেও আওয়ামীগ বাংলাদেশের রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ঝটিকা মিছিল করছে। তবে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিছিলে অংশগ্রহণকারী কয়েকজনকে আটক করার খবর উঠে আসছে।
Discussion about this post