আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল বাংলাদেশে। যত দিন গড়াচ্ছে ততই সক্রিয় হচ্ছে হাসিনার দল। সব থেকে বেশি মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এনসিপি এবং সরকারের। এমনকি গণ অধিকার পরিষদেরও মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদিকে আওয়ামী লীগের মিছিল থামানো না গেলে কি পরিণতি হতে পারে, সেটা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি চলছে। এদিকে হাসিনার দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিসকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আদেশ, সেটা নিয়ে তুমুল সমালোচনা তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের অন্দরে ঘটনার ঘনঘটা।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের মিছিল। খুলনাতেও দেখা গেল মিছিল। এদিকে পুলিশ ব্যস্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের ধরার জন্য। এমনকি আওয়ামী লীগের সাত সকালের ঝটিকা মিছিল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা জল্পনা উঠে আসছে। এরমধ্যে গণ অধিকার পরিশোধের সাধারণ সম্পাদক রাসেদ খান ফেসবুক একটি পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টে আওয়ামী লীগের বাংলাদেশে বেড়ে ওঠা নিয়ে আতঙ্ক লক্ষ্য করা গিয়েছে। তিনি লিখেছেন, খুলনাতে সাত সকালে আওয়ামী লীগের মিছিল। দিন যত যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের মিছিলের সারি তত বড় হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলি দূরত্ব ভোটের রাজনীতির মারপ্যাঁচ বিদেশিদের সাহায্যে খুব তাড়াতাড়ি প্রাসঙ্গিক হতে যাচ্ছে এই দল। এমনকি তিনি লেখেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তির মধ্যে ন্যূনতম বোঝাপড়া ছাড়া আওয়ামি লীগের ফেরানো কেউ থামাতে পারবে না। এই দলটি কোনও ছোট শক্তি নয়। যদি এই দলকে ছোট ভেবে ধাক্কা দিবেন না মনে করেন। তাহলে এরা সংগঠিত হয়ে এমন ধাক্কা দিবে, তখন সকলে পিষ্ট হয়ে যাবেন।
কাজেই বাঁচতে চাইলে ঐক্য, নইলে হবেন পিষ্ট! আওয়ামী লীগ ফিরতে পারলে, রবে না কিছু অবশিষ্ট।
এমনটাই পোস্ট করেন তিনি। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের বেড়ে উঠাতে ভয় পাচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শক্তি গুলি। তার মধ্যে আরও ঘি ঢালছে, মাঝে মাঝেই আওয়ামী লীগের ভার্চুয়াল বৈঠকে শেখ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে হুঙ্কার। তারমাঝে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা ছড়িয়েছে। তিনি নাকি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ধরে গ্রেফতার করতে হবে। পুলিসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেটা একেবারে বেআইনি বলা হচ্ছে। কারণ আওয়ামীলীগ বাংলাদেশে একেবারেই নিষিদ্ধ নয়। এমন তত্ত্বই খাড়া করছেন রাজনীতির বিশ্লেষকরা। এখন দেখার, শেষমেশ কি হয়।
Discussion about this post