গণঅভ্যুত্থানের জেরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়, তারপরে গঠিত হয় মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর থেকেই মোহাম্মদ ইউনুস তিনি দাবি করে আসছেন ৫ই আগস্ট এর আগে ছাত্রদের সঙ্গে তার কোনো রকম যোগাযোগ ছিল না। অর্থাৎ শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পরই ছাত্র নেতাদের তরফ থেকে ইউনেসের কাছে পর্যায়ে এবং তাকে প্রধান উপদেষ্টা পদে বসার জন্য আবেদন জানানো হয়। কিন্তু এবার ৯ মাস পর বিস্ফোরক জাতীয় ছাত্র সমন্বয়ক ও এনসিপির অন্যতম নেতা আব্দুল হান্নান মাসুদ।
সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি দৈনিক সংবাদপত্রের সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ১লা আগস্টে রাতে মুর্শিদ ফজল আনসারীর মাধ্যমে ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এর সঙ্গে প্রথম কথা হয় ছাত্রনেতাদের। মুরশিক ফজল আনসারী মালয়েশিয়া নিবাসী নামের বাংলাদেশে একটি সিগনাল একাউন্ট খুলে দেন ছাত্রদের। জানা যাচ্ছে সেই সিগনাল একাউন্টের মাধ্যমে মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছিল তাদের।
সেই সময় ছাত্র নেতাদের উদ্দেশ্যে মোহাম্মদ ইউনুস এর বার্তা ছিল, “তোমরা এগিয়ে যাও,দেশ তোমাদের পাশে থাকবে। তোমাদের যেকোনো সমস্যায় আমায় পাশে পাবে।”
হান্নান মাসুদ আরো বলছেন সেই সময় তারেক রহমান ছাত্র নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নানা রকম প্রযুক্তিগত কারণে তার ফোন কলটিকে এভোয়েড করা হয়েছিল। এবং প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস তিনি জানিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টার পদে বসার অনুরোধের আগে তার সঙ্গে ছাত্র নেতাদের এই বিষয়ে কোনো যোগাযোগ ছিল না। এমনকি হান্নান মাসুদ জানিয়েছেন, সুইজারল্যান্ডের ডাবলসে বসে প্রধান উপদেষ্টা কে আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যম একটি সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রশ্ন করেছিল, যে কারা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল? সে প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস জানান, “সেই সময় আমি তার হাসপাতালে চিকিৎসধীন ছিলাম। তখন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল শিক্ষার্থীরা। সেই সময় সকলেই আমার অপরিচিত ছিল। এমনকি তাদের সম্পর্কেও সবটাই অজানা। এরপরে ছাত্ররা আমাকে প্রধান উপদেষ্টা পদে বসার অনুরোধ জানায়। কিন্তু সেই বিষয়ে আমি জানিয়েছিলাম, এটা কখনোই সম্ভব নয়। কারণ আমি এই বিষয়ে একেবারেই কিছু জানিনা। অর্থাৎ আমি সমস্ত বিষয় যুক্ত হতে চাই না।”
পাশাপাশি ইউনুস সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে তিনি ছাত্র নেতাদের বুঝিয়েছিলেন, তার বিকল্প কাউকে খুঁজে নেওয়ার জন্য কারণ এই সমস্ত বিষয়ে অনেক ভালো নেতা বাংলাদেশে রয়েছে বলে মনে করেছিলেন তিনি। এবং এরপরও ছাত্র নেতারা নাছোড়বান্দা ছেলে এবং তাকে প্রধান উপদেষ্টা পদে বসার জন্য অনুরোধ জানিয়ে গিয়েছেন লাগাতার। এরপর নাকি মোহাম্মদ ইউনুস তিনি রাজি হন প্রধান উপদেষ্টা পদে আসীন হওয়ার জন্য।
কিন্তু দেখা গেল, হান্নান মাসুদের সাক্ষাৎকার অনুযায়ী পহেলা অগাস্ট মোঃ ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় কিন্তু সেই সময় তো শুধুমাত্র হান্নান মাসুদই তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি অন্যান্য ছাত্র নেতারাও সেখানে ছিল এটা খুব স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে। আরো একটি প্রশ্ন যদি মোহাম্মদ ইউনুস আগে থেকেই ছাত্র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ না স্থাপন করে সেক্ষেত্রে হঠাৎ করেই শেখ হাসিনা পতনের পরে তার কাছে কেন ফোন করে অনুরোধ করবে ছাত্র নেতারা? অর্থাৎ এই অভ্যুত্থানের পেছনে মহম্মদ ইউনুসের কৌশল কাজ করছে সেটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে।
তার আগে আমরা দেখেছিলাম যে গত বছর ছাত্র জনতার যে আন্দোলন জর্জেটে শেখ হাসিনা সরকারের পতন সেই আন্দোলন পুরোটাই সাজানো একটি আন্দোলনসেখানে ইউনুসের মেটাকিউলাস ডিজাইন কাজ করেছে বলে ক্লিনটন ফাউন্ডেশনের একটি অনুষ্ঠানে নিজেই জানিয়েছিলেন মহম্মদ ইউনুস।
Discussion about this post