রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখার বার্তা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দুর এই মন্তব্যে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তাদের প্রশ্ন, শুভেন্দু অধিকারী হঠাৎ কেন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিলেন? তার সাময়িক রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কারণটাই বা কী?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাজ্য নেতৃত্বদের উপর ক্ষুব্ধ শুভেন্দু অধিকারী। কারণ রাজ্য এর সাধারণ জনগণ চাইছে রাজ্যে বদল আসুক। কিন্তু পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে কোনভাবেই ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে রাত্রে কোনরকম পরিবর্তন নাও ঘটতে পারে। সম্প্রতিককালে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় রাজ্য উত্তপ্ত পরিস্থিতি। আর সেই পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজনকে, নির্বিচারে অত্যাচারিত হতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু তারপরে কেন্দ্রের নেতৃত্ব নরেন্দ্র মোদী অমিত শাহ তারা নির্বিকার, কেন মমতা সরকারকে আড়াল করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের নেতৃত্বরা? তবে কি সেখান থেকেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন শুভেন্দু অধিকারী? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের একাংশের। তবে তার আগে শুভেন্দু অধিকারী ঠিক কি মন্তব্য করেছেন, শুনুন,,
অর্থাৎ আগামী ১০ই মে পর্যন্ত সমস্ত রকম রাজনৈতিক কর্মসুচি স্থগিত রাখার কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি,মুর্শিদাবাদে প্রায় ১০ হাজার হিন্দু ঘরছাড়া বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই অবস্থায় আগামী ১০ মে পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি না করার সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, রাজনীতি পরে এই মুহূর্তে আগে ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়ানোটা জরুরি। জরুরী ভিত্তিতে কিছু প্রয়োজন হলে অবশ্যই করা হবে। এখন ঘর ছাড়া দের পাশে দাঁড়ানো, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
রাজ্যে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় মুর্শিদাবাদে হিংসার পর এখনও সে অঞ্চলে শীতলতা ফেরেনি। অশান্তির ঘটনায় ঘর ছাড়া হিন্দুরা এখনো পর্যন্ত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তারা। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত শুভেন্দু অধিকারীর। শুধু তাই নয় এই আবহে ঘরছাড়াদের পাশে দাঁড়ানো ও ত্রাণ সামগ্রীর মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করার আশ্বাস দিতেও দেখা দিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। আর এটাই এখন তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে তিনি এই হিংসার ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বিস্ফোরক দাবি করে জানান,গোটা মুর্শিদাবাদে কাশ্মীরের মতো হিন্দু শূন্য করার প্রয়াস চালানো হয়েছে।
Discussion about this post