চাকরিহারাদের আশ্বাস পূর্ণ করতে ব্যর্থ এসএসসি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে যাবার পরও যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করলো না এসএসসি। সোমবার এই ঘটনার পরেই সল্টলেকে এসএসসি ভবন চত্বরে বিক্ষোভ চাকরিহারা শিক্ষকদের। রীতিমতো বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় এই বিক্ষোভে। ফুটেছে সঙ্গে ধস্তাধস্তির সহ সারা রাত অবস্থানে বসার দাবি জানায় চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের দল।
ডেডলাইন অনুযায়ী সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা। কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা পার হয়ে যেতেও তালিকা আসেনি। এদিকে চেয়ারম্যান এর সদনের ভেতরে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক চলছিল চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিধিনিদলের।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছে, যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের রিভিউ পিটিশনে যাবে সরকার।
এসএসসি চেয়ারম্যানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে যে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল, তাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে এসএসসি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই সমস্ত কার্যক্রম চালাবে। পাশাপাশি জানানো হয়, এসএসসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনও তালিকা প্রকাশ করা হবে না। তালিকা প্রকাশের এসএসসিকে আইনজ্ঞরা সম্মতি জানালে তবে তালিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু কমিশনকে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদিও এসএসসি তা জানিয়েছে তালিকা প্রকাশের ডেডলাইন পেরিয়ে যাওয়ার পরই। তালিকা প্রকাশ যে করা হবে না তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এসএসসি। তবে যে সকল শিক্ষক স্কুলে যাবে ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা বেতন পাবেন সেই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।
তালিকা প্রকাশ না করার পাশাপাশি তৃতীয় কাউন্সিল পর্যন্ত যোগ্য বলে ঘোষণার দাবি ঘিরে সল্টলেকের এসএসসি ভবনের সামনে উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। চাকরি হারাদের বক্তব্য, যোগ্যদের চাকরি চলে গেলে সেই দায় কার? তাদের জীবন নিয়ে ছেলে খেলা করা হচ্ছে। এই আন্দোলনের সামিল হয়ে কি বলছেন চাকরিহারারা শুনুন,,
বাইট চাকরিহারা
অর্থাৎ চাকরিহারাদের আরও দাবি, আদালতে হলফনামা দিয়ে এসএসসি বলেছিল, ৬২০০ র কিছু বেশি অর্থাৎ সেগুলি বাদে বাকি চাকরি গুলি বৈধ। তবে এসএসসি কি বিভিন্ন সময় ভুল তথ্য দিচ্ছে? নাকি অযোগ্যদের আড়াল করতেই তৃতীয় কাউন্সিল পর্যন্ত যোগ্য বলে নতুন পরিকল্পনা শুরু করেছে কমিশন? প্রশ্ন চাকরিহারা শিক্ষকদের প্রতিনিধি দলের।
Discussion about this post