কাশ্মীরের এই নৃশংস হামলার পর ভারতের প্রতিক্রিয়ায় আতঙ্ক পাকিস্তান। পাক সেনাবাহিনী এয়ার ফোর্স, সেনা ট্যাংক এলওসি অঞ্চলে মজুত রাখার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে, ভারতের এই জঙ্গি হামলার ভয়ংকর প্রতিশোধ নিতে উদ্যত ভারত তা আন্দাজ করতে পারছে পাকিস্তান। ভারত এবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর পথে হাটতে পারে সেই আশঙ্কা থেকেই পূর্ব প্রস্তুতে পাকিস্তান। কিন্তু গোটা বিশ্ব জানে ভারতের সঙ্গে এত বড় নৃশংস খেলায় যখন নেমেছে শত্রুদের তখন ভারত হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকবে না।
বেশ কিছুদিন আগেই কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাক সেনাপ্রধান কে বেশ কিছু বক্তব্য রাখতে শোনা গিয়েছিল। তিনি সেদিন বলেছিলেন, “আমাদের কাছে কাশ্মীর একটি নন নেগোসিয়েটিভ একটি চ্যাপ্টার অর্থাৎ কূটনৈতিক ক্ষেত্রেকাশ্মীর ছাড়া পাকিস্তান আর কিছুই ভাবতে পারেনা।” তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, পাক সেনাপ্রধান সেদিন হয়তো এই সমস্ত জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদীদের রূপক বার্তা দেওয়ার জন্যই এই কথাগুলি বলেছিলেন। জানা যাচ্ছে তিনি বার্তাও পাঠিয়েছিলেন যে এটি সঠিক সময়, এই সময়েই হামলা করার প্রয়োজন। তিনি আরো বেশ কিছু ভয়ংকর কথা বলেন, তিনি বলেছিলেন সকলকে বলে দাও হিন্দু-মুসলিম কখনো এক হতে পারেনা হিন্দুরা মুসলমানদের থেকে আলাদা। এবং তিনি পাকিস্তানের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যে সংস্কৃতি গৌরব সবটাই সঞ্চালিত করতে হবে বলে বার্তা দেন তিনি।
এরপর ভারতে জিহাদি হামলা। এরপর ভারত চারজন সন্ত্রাসবাদের ছবি প্রকাশ্যে এনেছে। এমনকি কয়েকজনের স্কেচও প্রকাশ করা হয়েছে। তার মাঝে ভারতের স্যাটেলাইট সূত্রে খবর, ভারতের পদক্ষেপের আতঙ্কেই পাকিস্তান সেনা এলওসি অঞ্চলে তাদের মিলিটারি এসেট মোতায়েন করতে শুরু করেছে। পাশাপাশি সুত্রের খবর, করাচি থেকে বিমানবাহিনীর একাধিক বিমান লাহোর থেকে রাওয়ালপীন্ডিতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভারতের সামনে এসেছে, পি এ এফ ১৯৮৮ লকেট ১৩০ই একটি বিমান পাকিস্তানের এয়ার ফোর্স থেকে এলওসি অঞ্চলে স্থাপন করা হয়েছে এবং বিএসএফ ১০১ স্মল বেনম স্থাপন করা হয়েছে। এরপর তারা এক এক জায়গা থেকে অ্যাসেট নিয়ে আসো প্রতিস্থাপন করছে এই মিলিটারি অঞ্চলে। তাদের এই তৎপরতা থেকে পরিষ্কার পাকিস্তান ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের আঁচ পেয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে ভারত কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের দিকে এগিয়ে চলেছে। আর তাতে যে পাকিস্তান নিজেদের অ্যাসেট প্রস্তুত রাখতে শুরু করে দিয়েছে এটি কূটনৈতিক মহলে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।
ভারতের কাশ্মীরে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে তা পুরোটাই ঘটানো হচ্ছে ধর্মীয় মেরুকরণের উদ্দেশ্যে, যখন পর্যটকদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছিল তার আগে হিন্দু পর্যটকদের কলমা পড়তে বলা হয়েছিল এমনকি নানা রকম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হিন্দু না মুসলিম তা পরীক্ষা করে এই হামলা চালায় পাক জঙ্গি সংগঠন এর সন্ত্রাসবাদীরা। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ভারত বেশ কয়েকটি কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার মধ্যে অন্যতম সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত এখন দেখার ভারতের সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত সহ অন্যান্য কূটনৈতিক পদক্ষেপে কি পরিণতি হয় পাকিস্তানের।
Discussion about this post