সোমবার লোকসভা ভোটের প্রচারে উড়িশার পুরীতে হাজির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোড শো, জনসভার পাশাপাশি পুরীর বিখ্যাত জগন্নাথ মন্দিরে পুজোও দিলেন। আর সেই সঙ্গে খুঁচিয়ে তুললেন এক বহু পুরোনো বিতর্ক। স্বভাবসূলভ ভঙ্গিমায় নিশানা করলেন ওড়িশার বিজেডি সরকারকে। পুরীর রত্ন ভাণ্ডারের হারিয়ে যাওয়া চাবি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে ছাড়লেন না মোদি। উল্লেখ্য, বিগত ছয় বছর ধরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের চাবি নিখোঁজ। মোদির দাবি, পবিত্র এই জগন্নাথ ধাম বিজেডি সরকারের হাতে নিরাপদ নয়।
সোমবার সকালেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর আঙ্গুল এলাকায় একটি নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন তিনি। সেখান থেকেই তিনি নিশানা করেন ওড়িশার বিজেডি সরকারকে। তিনি বলেন, “বিজেডি-র শাসনকালে পুরীর পবিত্র জগন্নাথ মন্দির একেবারেই নিরাপদ নয়। রত্ন ভাণ্ডারের চাবি গত ছয় বছর ধরে পাওয়া যায়নি”।
উল্লেখ্য, পুরীর মন্দিরের যেমন একটি ধর্মীয় মাহাত্ম রয়েছে, তেমনই এখানকার রত্ন ভাণ্ডারের গুরুত্বও কম নয়। জানা যায়, এই রত্ন ভাণ্ডারে বহু যুগ ধরে সঞ্চিত রয়েছে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার প্রচুর মূল্যবান রত্ন সমূহ। যুগ যুগ ধরে অসংখ্য ভক্ত, রাজা, মহারাজা, ধনী ব্যবসায়ী, শিল্পপতিরা নানান মূল্যবান সামগ্রী, অলঙ্কার দান করেছেন পুরীর মন্দিরে। সেগুলিই গচ্ছিত থাকতো এই রত্ন ভাণ্ডারে। অভিযোগ, বিগত ছয় বছর ধরে এই রত্ন ভাণ্ডারের চাবি পাওয়া যাচ্ছে না। প্রসঙ্গত, শেষবার সেই ১৯৮৫ সালের ১৪ জুলাই এই রত্ন ভাণ্ডার খোলা হয়েছিল।
২০১৮ সালে ওড়িশা হাইকোর্ট এই রত্ন ভাণ্ডার পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সময়ই এই ভাণ্ডারের চাবি পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভও রয়েছে। রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত, ওড়িশায় বিজেপি এবং নবীন পট্টনায়কের বিজেডি-র জোট ভেঙে যাওয়ার পর বিজেপি সেখানে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে। প্রধানমন্ত্রী ভোটের হাওয়া নিজের দিকে টানতেই এবার খুঁচিয়ে তুললেন সেই হারিয়ে যাওয়া রত্ন ভাণ্ডারের চাবি প্রসঙ্গ। পুরীতে এবার বিজেপি প্রার্থী সম্বিত পাত্র। তাঁর সমর্থনেই রোড শো করেন প্রধানমন্ত্রী।
Discussion about this post