দেশে যতগুলো উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার মধ্যে সবার আগে মনে পড়ে আইআইটি-র কথা। যেখানে পড়া মানেই ভবিষ্যতে চাকরি নিশ্চিত। একবার এই শিক্ষাকেন্দ্র থেকে পড়াশোনা করে বের হলেই, দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকে নিশ্চিত একটা চাকরি। এই ধারণা নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চাকরি জীবনের জায়গা মজবুদ করতে আইআইটি কেন্দ্রগুলোতে ছুটে আসে পড়ুয়ারা। কিন্তু, এ ধারণা যে ভুল তা নিশ্চিত করে দিল এই প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছর আইআইটি থেকে করেও মিলছে না চাকরি। ২৩ টি আই.আই.টি কেন্দ্রগুলির মধ্যে ৭০০০-হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী এখনও ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চাকরি পাননি। শুধু চলতি বছর কেন? গত ২ বছরে ক্যাম্পাস সিলেকশনে চাকরি না পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩.৪০০ জন। গত তিন বছরে আইআইটি-গুলিতে চাকরি না পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৩ গুন। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আইআইটি কানপুর শাখার এক ছাত্র।
সূত্রের খবর, চলতি বছর রাজধানীর আইআইটিতে শিক্ষাবর্ষের জন্য চাকরির প্লেসমেন্টের সময়সীমা প্রায় শেষ। তা সত্বেও এখনও চাকরি পাননি প্রায় ৪০০ শিক্ষার্থী। বম্বের আই.আই.টিতে চাকরির জন্য প্লেসমেন্ট চলবে জুন মাস পর্যন্ত। এর থেকে স্পষ্ট চাকরির বাজারে আই.আই.টিও এখন যথেষ্টই পিছিয়ে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, চাকরি না পাওয়ার যন্ত্রণা যে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে পড়ুয়াদের তা বলাই যায়। তাই চাকরির সন্ধান পেতে আইআইটির প্রাক্তন পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বর্তমান পড়ুয়ারা। এ বিষয় আই.আই.টির প্রাক্তন পড়ুয়াদের বলা হয়েছে, তারা যে সংস্থায় কাজ করছে সেখানে যদি ভ্যাকান্স শুরু হয়, সেকথা জানাতে। সেই সঙ্গে যদি কোনও কোম্পানীতে ইন্টার্নশিপের জন্য কর্মী নেওয়া হয়, তাও জানানোর কথা বলা হয়েছে প্রাক্তন পরীক্ষার্থীদের।।
Discussion about this post