বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের নেতা তথা সাংসদ আনোয়ারুল আজিম খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এবার পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির হাতে গ্রেফতার হল আরেক অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদার। জানা যাচ্ছে পেশায় কসাই জিহাদ বাংলাদেশের সাংসদের দেহ টুকরো টুকরো করতে সাহায্য করেছিলেন। তাঁকে বনগাঁ সীমান্ত থেকেই গ্রেফতার করেছে সিআইডি গোয়েন্দারা। তবে এখনও পর্যন্ত সাংসদ আজিমের দেহ বা দেহাংশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে, এক ‘রহস্যময়ী’ নারীর যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে তদন্তে। তাঁকে ‘হানিট্র্যাপ’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল কিনা সেটাই জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
আনোয়ারুল আজিম খুনের তদন্ত যৌধভাবে করছে বাংলাদেশ পুলিশ এবং রাজ্য সিআইডি। বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লিগের সাংসদ খুনের অভিযোগে আগেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার সিআইডি গ্রেফতার করল খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত এক কসাইকে। জিহাদ হাওলাদার নামে ওই ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে রাতেই তাঁকে নিয়ে তল্লাশি চালানো হয় দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ের কয়েকটি জায়গায়। সিআইডির অনুমান বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশ ভাঙড়ের আশেপাশেই ফেলা হয়েছে। তবে রাত হয়ে যাওয়ায় সেরকম কিছু পাওয়া যায়নি। সিআইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, শুক্রবার ধৃত জিহাদ হাওলাদারকে বনগাঁ আদালতে হাজির করিয়ে হেফাজত চাওয়া হবে। যাতে তাঁকে জেরা করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভেদ করা যায়।
সূত্রের খবর, বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশ করে জিহাদ কসাইয়ের পেশা নিয়ে মুম্বইয়ে বসবাস করছিল। এও জানা যাচ্ছে, ঘটনার মূল চক্রী, বাংলাদেশে ধৃত আখতাররুজ্জামানই তাঁকে মুম্বই থেকে কলকাতায় ডেকে আনেন। খুনের সময় আরও চারজন ছিলেন বলে জেরায় জানিয়েছে জিহাদ। অপরদিকে তদন্তে উঠে আসছে এক রহস্যময়ী মহিলার নাম। শিলান্তি রহমান নামে ওই সুন্দরীকে সামনে রেখেই হানিট্র্যাপে ফেলা হয়েছিল বাংলাদেশী সাংসদকে। এমনটাই অনুমান সিআইডির। তদন্তকারীরা এও জানতে পেরেছেন, ওই মহিলাকে সামনে রেখেই নিউটাউনের ওই অভিজাত আবাসনে ডেকে আনা হয়েছিল আওয়ামী লিগের সাংসদ
Discussion about this post