ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে দীর্ঘ ২১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল কলকাতা বিমানবন্দরের বিমান পরিষেবা। রবিবার দুপুর ১২টা থেকে সমস্ত বিমান চলাচল বন্ধের জন্য নোটাম (নোটিশ টু এয়ারমেন) জারি করেছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। অবশেষে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কমতে সোমবার সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে প্রথম উড়ানটি ছাড়ে বলে জানানো হয়েছে। কলকাতা থেকে পোর্ট ব্লেয়ারের উদ্দেশ্যে উড়ে যায় ইন্ডিগোর একটি বিমান। অপরদিকে কলকাতায় প্রথম বিমানটি অবতরণ করে অসমের গুয়াহাটি থেকে। সেটি সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে কলকাতার রানওয়ে ছুঁয়েছে বলেই জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে বিমান পরিষাবা চালু হলেও তা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, রবিবার মধ্যরাত নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূলের মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমালষ পূর্বাভাস মতোই রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাংলাদেশ উপকূলে স্থলভাগ স্পর্ষ করে ঘূর্ণিঝড়টি। যদিও বিকেল থেকেই কলকাতায় শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া এবং প্রবল বৃষ্টি। রাত যত বেড়েছে, ততই বেড়েছে ঝড়-বৃষ্টির দাপট। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল চালু রাখতে চায়নি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। রবিবার দুপুর ১২টা ১৬ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে শেষ বিমানটি উড়েছিল। এরপর থেকে বিমান পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাতিল হয় প্রায় ৪০০ বিমান।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যাচ্ছে, সোমবার সকাল ৯টা থেকেই বিমান পরিষেবা চালু করার কথা ছিল। তবে এক মিনিট আগেই প্রথম বিমানটি উড়েছে কলকাতা নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। তবে যেহেতু প্রায় ৪০০ বিমান বাতিল করতে হয়েছে, সেহেতু পরিষেবা স্বাভাবিক হতে অনেকটাই সময় লাগবে বলে মনে করছেন বিমানবন্দরের আধিকারিকরা। এখন বিমান পরিষেবা চালু হলেও অনেক কম বিমান ওঠানামা করছে। কারণ এখনও বৃষ্টি এবম দমকা হাওয়া চলছে কলকাতা এবং আশাপাশের অঞ্চলে। ফলে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করেই বিমান ওঠানামা করছে।
Discussion about this post