ভোট সপ্তমীতে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ভাঙড়ে নির্বাচন। তার আগে গ্রেপ্তার আরও এক তৃণমূল নেতা। নির্বাচনের ঠিক একদিন আগে আরাবুল ঘনিষ্ঠ ইব্রাহিম মোল্লা ওরফে বাপি। তিনি ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকের ভগবানপুরের অঞ্চল সভাপতি। তাঁর স্ত্রী টানা বছর দশেক ভগবানপুর অঞ্চলের প্রধান ছিলেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে খুনের চক্রান্তের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন বাপি। একদিকে আরাবুল জেলে। অন্যদিকে পুলিশ ধরল ভাঙড়ের আরও এক দাপুটে তৃণমূল নেতাকে। ভোটের আগে গ্রেফতার ভাঙড়ের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ইব্রাহিম মোল্লা ওরফে বাপি। ভগবানপুর অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি বাপি আরাবুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাঁর গ্রেফতারি নিয়েই বর্তমানে জোর চর্চা ভাঙড়ের রাজনৈতিক মহলে। প্রাক্তন প্রধান রেজিনা খাতুনের স্বামী বাপির বিরুদ্ধে খুনের পরিকল্পনা করার অভিযোগ উঠেছে বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, আইএসএফের অভিযোগ, যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের প্রচার মিছিলে হাঁটার জন্য ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলে আইএসএফ সমর্থকদের ফতোয়া জারি করেছিল তৃণমূল। তবে চালতাবেড়িয়ার কোচপুকুরে তৃণমূলের বুধবারের ওই মিছিলে যাননি আইএসএফের বেশ কিছু সমর্থক। অভিযোগ, ওই অপরাধে মিছিল শেষ হলে রাতে আইএসএফের এক সমর্থককে রাস্তায় পেয়ে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূলের লোকজন।
অন্যদিকে, ভগবানপুরের জিরানগাছায় এক তৃণমূল কর্মীকে আইএসএফ কর্মীদের দ্বারা মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আহত তৃণমূল কর্মীকে দেখতে যান ভাঙ্গড়-২ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য খায়রুল ইসলাম। তিনি সরাসরি আইএসএফের গুন্ডামির অভিযোগ তুলে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান। পোলেরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। আহত তৃণমূল কর্মী চিকিৎসার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই সংঘর্ষের ঘটনা ভোটের আগে ভাঙড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। এলাকাবাসী এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন।
Discussion about this post