দিন দিন কর্মব্যস্ততা পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে, একঘেয়েমি জীবন কাটাতে মাঝেমধ্যেই একটু দূরে কোথাও ঘুরে আসাই যায়। একঘেয়েমি জীবন কাটিয়ে মাঝে মধ্যে একটু ঘুরে আসলে আমাদের শরীর স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। শরীরের জন্য আবহাওয়ার বদল অত্যন্ত জরুরি। তবে ভ্রমণের কথা মাথায় এলেও সবার আগে আমাদের চিন্তা পরে পকেটের উপর। কারণ ভ্রমণে বের হলেই সবার আগে টান পরে পকেটে। বিশেষ করে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার কথা এলেই আমাদের প্রথমেই মনে হয় প্রচুর টাকা খরচ হবে। সেই ভয়তে আমরা ঘোরার প্ল্যালিং করলেও, শেষ পর্যায়ে গিয়ে তা বাতিল হয়ে যায়। কয়েকটি টিপস মেনে ভ্রমণে বের হলে আপনার খরচও কমবে আর ভ্রমণে যাওয়ার আনন্দও উপভোগ করতে পারবেন।
পরিবহনের খরচ বাঁচান
ভ্রমণের কথা আসলেই আগে আসে পরিবহনের খরচের কথা। তাই বিলাস বহুল যাত্রা না করে সাধারণ পরিবহন যাত্রার সুযোগ নিতে পারেন। কারণ সাধারণ পরিবহন যাত্রা অনেকটা টাকা সেভ করে। অনেকে ভাবেন পরিবার নিয়ে বিমানে যাত্রা করবেন ফলে এক কালীন অনেকটা টাকা খসে যায়। আবার অনেকে অ্যাপ ক্যাব বুকিং করে রওনা দেন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। যার ফলে ভ্রমণ যাত্রা হয় ব্যয়বহুল। এগুলোর পরিবর্তে ট্রেন, মেট্রো, কিংবা বাসে করে ভ্রমণে বের হতে পারেন।
বাড়ির খাবার খান
ভ্রমণে বের হয়ে অনেকে বাইরের খাবার দাবারে বেশি অর্থ ব্যয় করে ফেলেন। সেই পরিবর্তে আপনি ঘরোয়া খাবার ব্যবহার করতে পারেন। ঘর থেকে খাবার বানিয়ে নিতে যেতে পারেন। বিশেষ করে ক্যাফে গুলির মত শৌখিন ফ্যানা যুক্ত কফি ও শুকেনো স্নাকস বাড়ি থেকেই বানিয়ে নিতে পারেন। ফলে যখন তখন বাইরের ক্যাফে গিয়ে অর্ডার করা স্নাকস বা কফির অভ্যাস থাকবে না। যার ফলে অর্থ খরচ বন্ধ করা যাবে।
আলাদা খাতে সঞ্চয় করুন
প্রতি মাসে যখন বেতন পাচ্ছেন তার থেকে অল্প কিছু টাকা ভ্রমণের জন্য সরিয়ে রাখুন। এভাবে রাখতে রাখতে একটা সময় অনেকটা অর্থ সঞ্চয় হবে। যার ফলে ভ্রমণে যখন বের হবেন তখন এককালীন অনেকটা অর্থ ব্যয় করতে হবেনা। সাথে প্রতিমাসে অল্প কিছু সঞ্চয় করার জন্য আপনার গায়েও লাগবে না।
আগে থেকে স্থির করুন খরচ
ভ্রমণের প্ল্যানিং হঠাৎ করে করবেন না। ভ্রমণে বের হবেন তা জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিন। কোথায় যাবেন, কতদিন থাকবেন, কি কি খরচ করবেন তার একটা হিসাব করে নিন। সেই হিসাব মেনেই চলুন। কোথায় ভ্রমণে গেলে, কোন পথে গেলে খরচ অনেকটা কম করা যাবে তা নির্দিষ্ট করুন। ভ্রমণে হিসাব করে না বের হলে লাগামহীন খরচ হবে। তাই আগে থেকে পরিকল্পনা মাফিক চলুন।
অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিন
ধরুন আপনি ভ্রমণে যাওয়ার জন্য আগে থেকে প্ল্যানিং করে নিয়েছেন। আর ৪ মাস পর আপনি ঘুরতে যাবেন। এই অগ্রিম চারটে মাস আপনি অন্য বাড়তি খরচ বন্ধ করতে পারেন। যেগুলো অপ্রয়োজনীয় খরচ যে খরচ গুলো না করলে আপনার দিব্যি সময় পার হয়ে যেতেই পারে কিংবা অন্য বিকল্প পথে সেই প্রয়োজন মিটিয়ে নিতে পারেন, সেক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় খরচ করা বন্ধ করুন। সেই অর্থ ভ্রমণের খাতে জমতে পারেন। তাহলে বাড়তি অর্থ খরচ করতে লাগবে না। ধরুন কয়েকদিন না হয় দামী রেস্টুরেন্টে খেতে নাই গেলেন তার বদলে সস্তার হোটেলে কয়েকদিন খেয়ে নিলেন। দামী বিলাসবহুল জামা কাপড় না কিনে সাধারণ পোশাক কিনতে পারেন। মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে না গিয়ে ঘরে বসে কিংবা স্মার্ট ফোনেই দেখে নিতে পারেন।
বাড়ির অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করে দিতে পারেন
অনেক সময় আমাদের বাড়িতে অপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্র পরে থাকে যা ঘর বোঝাই করে এবং আমাদের কোনো কাজে লাগে না। সেই সমস্ত ভাঙাচোরা জিনিসপত্র বিক্রি করে দিতে পারেন। সেই টাকা ভ্রমণের কাজে ব্যয় করলে অনেকটাই সেভ হবে ভ্রমণযাত্রা।
Discussion about this post