নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শেষ হল NDAর শরিক দলগুলির বৈঠক। বৈঠকে হাজির ছিলেন তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নায়েডু, জনতা দল ইউনাইটেড নেতা নীতীশকুমার সহ অন্যান্য শরিক গুলির নেতা। বৈঠকে চন্দ্রবাবু ও নীতীশ তাদের সমর্থনপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় INDIA জোটের বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
৮ জুন, অর্থাৎ আগামী শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এই নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন মোদী। এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করতে এবং পদত্যাগপত্র জমা দিতে ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছেছেন মোদী। নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির কাছে নতুন সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তিনি। এই প্রেক্ষাপটে রাজধানীর ৭ লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শুরু হয় বিজেপি ও শরিক দলগুলোর বৈঠক। পৌঁছে যান নীতীশ কুমার। থাকছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু, জীতেনরাম মাঝি-সহ অন্যান্যরা।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই পাঁচ থেকে ছটি কেবিনেট পদ দাবি করেছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। জেডি(ইউ) শিবিরেও নাকি হাওয়া উঠছিল নীতীশই প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার। পাশাপাশি অমিত শাহকে নাকি পরবর্তী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাইছেন না জেডি(ইউ) প্রধান। এর আগে, রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রথামাফিক প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তবে পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত আপাতত মোদী ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাজ চালিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, ৭ জুন বৈঠকে বসছে বিজেপির সংসদীয় দল। সেই বৈঠকেও মোদীকেই নেতা নির্বাচন করা হবে। এরপর ৮ জুন রাষ্ট্রপতি ভবন ফের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিনি।
Discussion about this post