একাধিক কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করেছে বিজেপি। জেতা আসন থেকে সরিয়ে অন্যত্র পাঠানো হয়েছিল। ফল হয়েছে হিতে বিপরীত। ‘হারানোর জন্যেই কি তাঁদের পাঠানো হয়েছিল?’ দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে আরও সুর চড়ালেন দিলীপ। মেদিনীপুর ও রায়গঞ্জ আসন থেকে জয়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও দেবশ্রী চৌধুরীকে অন্যত্র পাঠানো হয়। একটি আসনে জয় এলেও বর্ধমান দুর্গাপুর হাতছাড়া হয়েছে বঙ্গ বিজেপির। এদিকে মেদিনীপুরও হাতছাড়া হয়েছে। তবে এবার জল্পনা শুরু হচ্ছে মেদনীপুরের বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে দিলীপ ঘোষকে।
শুক্রবার দিলীপ ঘোষ ইকোপার্কে লোকসভার ফলাফল নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে আবারও তিনি বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেন, ‘হারা আসন জেতার জন্য পরিকল্পনা করে সবাই। কেউ জেতা আসন হারার জন্য পরিকল্পনা করে না। এখন তো সেটাই মনে হচ্ছে।’ এখন জুন মালিয়া সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় মেদিনীপুর বিধানসভা আসন থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি বলে জানা যাচ্ছে। তাই সেখানে উপনির্বাচন হবে। তখন মেদিনীপুরে লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করে জিতিয়ে এনে বিরোধী দলনেতা করতে চাইছে আরএসএসের পশ্চিমবঙ্গ শাখা।
দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে বাংলায় এই পথই খোলা আছে বলে মনে করছে আরএসএস। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে খড়গপুর বিধানসভা থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন দিলীপ ঘোষ। আর বিধানসভা ভবনে পা রেখে পরিষদীয় রাজনীতিতে কাজ দেখিয়ে ছিলেন। তাই এখন এটাই করতে চাইছে আরএসএস বলে সূত্রের খবর। আর এটা যদি হয় তাহলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডানা ছাঁটা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন নিজের হার প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘এসব কেন করা হয়েছে এগুলো ভাবতে হবে। কিছু তো একটা ব্যাপার আছে। নাহলে যারা পার্টির প্রতিষ্ঠিত নেতা তাঁদের কি হারানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল? লোকে হারা আসন জেতার জন্য প্ল্যানিং করে। এতো দেখছি জেতা আসন হারাবার জন্য প্ল্যানিং হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’
Discussion about this post