ভোট মিটতেই প্রশাসনে নজর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আগামী ১১ জুন নবান্নের সভাঘরে হবে মেগা বৈঠক। তাতে থাকবেন সমস্ত দপ্তরের মন্ত্রী ও সচিব, যুগ্ম সচিবরা। এছাড়া প্রত্যেক জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররাও থাকবেন বৈঠকে। রাজ্যজুড়ে প্রশাসনিক কাজকর্ম কোথায় কী থমকে রয়েছে, তা পর্যালোচনা করা হবে ওইদিনের বৈঠকে। গত ৩১ মার্চ থেকে কলকাতার বাইরে মুখ্যমন্ত্রী। লোকসভা ভোটের প্রচারের জন্য তিনি জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন।
কলকাতায় ভোট ছিল শেষ দফায়, ১ জুন। তার আগেই কলকাতায় ফিরেছেন মমতা। বাংলার ৪২ আসনের মধ্যে ২৯টিই তৃণমূলের দখলে। তবে কেন এই বৈঠক? মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় সূত্রে খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন, বাংলায় যে নেতি নেতি পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করেছিল বিরোধীরা, এই জনাদেশ তাকে খণ্ডন করে দিয়েছে। তৃণমূলের প্রতি মানুষ আস্থা জানিয়েছে। শাসক দলের ভোটও বেড়েছে। একে তাঁর সরকারের প্রতি আস্থা হিসাবেই বিবেচনা করা উচিত। কারণ, সাধারণ নির্বাচন হলেও বিজেপি এই ভোটে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে হাতিয়ার করতে চেয়েছিল। সেই অবস্খায় মানুষ যদি তৃণমূলকে আগের তুলনায় বেশি হারে ভোট দেয়, তাহলে বুঝতে হবে প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই আস্থা রয়েছে। সেই আস্থা ধরে রাখতে এবার প্রশাসনকেও কোমর বেঁধে নামতে হবে। প্রশাসনের কাজে কোথায় কোথায় গাফিলতি আছে? তা নিয়ে পর্যালোচনা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে এমনই খবর।
মন্ত্রীদের কাজ, দফতরের কাজের রিভিউ করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে স্বশরীরে সব মন্ত্রীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি সব দফতরের সচিব, প্রধান সচিবদের ডাকা হয়েছে বৈঠকে।জেলাশাসকদেরও বৈঠকে স্বশরীরে উপস্থিতি বাধ্যতামুলক। ১১ জুন নবান্ন সভা ঘরে ডাকা হল এই বৈঠক। ১১ জুন বিকেল ৪ টের সময় এই বৈঠক। বৈঠকে পুলিশের এসপি, সিপি, আইজি, ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসারদেরও স্বশরীরে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করল নবান্ন।
Discussion about this post