শহরে এখনই বন্ধ হচ্ছে না হুক্কা বার। অর্থাৎ, শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা ও বিধাননগরে হুক্কা বার বন্ধে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, এ বিষয়ে আগে সিঙ্গল বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল, তাতে হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ নেই। তাই হুক্কা বার নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল থাকছে। আদালতের অভিমত, আগে হুক্কা-বার বন্ধ করার জন্য রাজ্যকে আইন বানাতে হবে। তবেই এই ব্যবসা বন্ধ করা যাবে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়। একটি আর্জিতে জানানো হয়, শহরের সব হুক্কা বার বন্ধের নির্দেশ দিক আদালত৷ যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি৷ এদিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নতুন করে আইন বা নির্দেশিকা জারি করতেই পারে। 2003 সালে ‘সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন’ মেনে হুক্কা বার চালানো হয়, তাই সেসব বন্ধ করা যাবে না । এর আগে প্রথমে কলকাতা পৌরনিগম এবং পরে বিধাননগর পৌরনিগম হুক্কাবার বন্ধের নির্দেশ জারি করে ৷
যেহেতু ২০০৩ সালের ‘সেন্ট্রাল টোব্যাকো আইন’ মেনে হুক্কা বার চালানো হয়, তাই তা বন্ধ করা যাবে না। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, শহরের সব রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষকেই হুক্কা বার বন্ধের অনুরোধ করা হয়েছে। অনুরোধে কাজ না হলে অথবা গোপনে হুক্কা বার চললে পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে। নিয়ম অমান্য করলে রেস্তরাঁগুলির লাইসেন্স নবীকরণ করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পুরসভা।
Discussion about this post