উত্তম কুমার ও সুপ্রিয়া দেবীর লিভ ইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অঞ্জন দত্ত।মহানায়ক উত্তম কুমার বাংলা সিনেমার প্রাণ পুরুষ।বাঙালি আজও মনের মনিকোঠায় রেখেছেন মহানায়ককে।অভিনেতা ও সঙ্গীত শিল্পী অঞ্জন দত্ত এবার উত্তম কুমারের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন।কিন্তু কোন প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করলেন তিনি!
সময়টা ষাটের দশকের শেষ।রুপোলি পর্দার তারারা তখন ধরাছোয়ার বাইরে।নায়ক নায়িকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহল থাকলেও সেভাবে কাটাছেড়া হয়নি।বাংলা চলচ্চিত্রে সেরা জুটি উত্তম সুচিত্রা।মহানায়ক উত্তম কুমারের ব্যক্তিগত জীবন বেশ রহস্যময়।প্রথম স্ত্রী গৌরী দেবী বর্তমান থাকতেই তিনি সুপ্রিয়া দেবীর ময়রা স্ট্রিটের বাড়িতে উঠে এসেছিলেন।
এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন অঞ্জন দত্ত।উত্তম সুপ্রিয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেছেন,‘‘তখন লিভ টুগেদার বিষয়টা কেউ জানতই না। অথচ ওঁদের নিয়ে সেই অর্থে কোনও গসিপ ছিল না! অনুরাগীরা ওঁদের নিজের মতো করে জীবন কাটানোর স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। আমায় মনে হয়, তখনকার বাঙালি অনেক বেশি আধুনিক ছিল।’’
কিন্তু হঠাৎ কেন একথা বললেন তিনি।বর্তমান সময় তারকাদের কাজের থেকেই বেশি তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চর্চা বেশি হয়।কে কাকে বিয়ে করছে,কাদের বিচ্ছেদ হচ্ছে,কেই বা পরকীয়া করছেন।এইসব বিষয় বারবার খবরে উঠে আসে।সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে গসিপ মাত্র ছাড়িয়েছে।তারিকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আর কোনো রহস্য নেই।সবটাই সবাই জানে।বিনোদন জগতের অন্দরমহল নিয়ে চর্চায় কখনোই ভাটা পড়েনা।এই নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে অঞ্জন দত্তের।আর তাই সংবাদমাধমের মুখমুখি হয়ে তিনি মহানায়কের প্রসঙ্গ টানেন
তিনি বলেছেন,‘‘মহানায়ক-সুপ্রিয়া দেবী মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দা ছিলেন না। সেই সময়ের বাঙালিও না। অথচ, তাঁরা নিজেদের মতো জীবনযাপনের স্বাধীনতা পেয়েছিলেন। সমাজও তাঁদের সেই ছাড়পত্র দিয়েছিল। একুশ শতক যা দিতে পারছে না। সত্যিই বিষয়টি হতাশার।’’
সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমা ছিলোনা।তাই উত্তম সুপ্রিয়ার একত্রবাস নিয়ে কাটাছেড়া হয়নি।এযুগে হলে হয়ত এতদিনে অনেক সমালোচনা হত।এটাই বলতে চেয়েছেন অঞ্জন দত্ত।
Discussion about this post