রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রাজভবনের সামনে ধর্নার অনুমতি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। শুভেন্দুকে রাজভবনের সামনে ধর্নায় অনুমতি দেওয়া যাবে না। বিকল্প অন্য কোনও জায়গা খুঁজে বের করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেও বিচারপতির প্রশ্ন, “ওখানেই কেন অবস্থানে বসতে হবে? শাসকদল বসেছিল বলে?” বিকল্প জায়গা বেছে নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘আক্রান্ত’দের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্না দিতে চান শুভেন্দু অধিকারী। গত অক্টোবর মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল যেখানে ৫ দিন ধর্না দেয় সেখানেই বসতে চান শুভেন্দু। এই নিয়ে তিনি কলকাতার পুলিশের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু পুলিশের তরফে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শাসক দলকে অনুমতি দিলেও বিজেপিকে ওই জায়গায় ধর্নায় বসার অনুমতি না দেওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। এই প্রেক্ষিতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। বুধবার সকালে সেই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে।
নিজের এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু নিশানা করেছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে। তিনি লেখেন, ‘‘১৯ জুন বিকেলের পর থেকে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে রাজভবন সংলগ্ন জায়গায় শান্তিপূর্ণ ধর্না বা অবস্থান-বিক্ষোভ করার অনুমতি চেয়েছিলাম কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে। যেখানে আঞ্চলিক দল তৃণমূলের নেতাদের গত ৫ অক্টোবর থেকে পাঁচ দিনের ধর্না দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। গত ১৩ জুন আমি প্রথম ইমেল পাঠিয়েছিলাম। কোনও প্রতিক্রিয়া না পেয়ে ১৬ জুন ‘রিমাইন্ডার’ পাঠিয়েছিলাম। তারপর মঙ্গলবার আমি কিছু অব্যক্ত ‘প্রশাসনিক কারণে’ জায়গা পরিবর্তন করে ধর্না করার জন্য জয়েন্ট সিপির কাছ থেকে ‘শর্তাধীন প্রস্তাব’ পেয়েছি। কিন্তু আমি আপনার ‘শর্তাধীন প্রস্তাব’ গ্রহণ করছি না। কারণ এটি একেবারেই পক্ষপাতদুষ্ট। তা ছাড়া, দেশের দুটো রাজনৈতিক দলের জন্য দুটো নিয়ম থাকতে পারে না।’’
এদিন মামলাটি কোর্টে উঠলে বিচারপতি সিনহার মন্তব্য, ‘‘শাসকদলের নেতা সেখানে কর্মসূচি করেছেন বলে আপনারাও করবেন, এটা যুক্তি হতে পারে না।’’ বিকল্প জায়গা খুঁজে ধর্না দেওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি।
Discussion about this post