চোপড়ায় যুগলকে মারধরের অভিযোগে নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্যজুড়ে। এবার এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়লো সংসদে। চলতি অধিবেশনে নিট-নেট কেলেঙ্কারি নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই সরব হয়েছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। এবার কি তবে চোপড়ার ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিরোধী জোটকে চেপে ধরবে গেরুয়া ব্রিগেড? ইঙ্গিত তেমনই মিলছে। সোমবার সংসদে অধিবেশন শুরুর আগেই বিজেপির মন্ত্রী-সাংসদেরা চোপড়ার ঘটনা নিয়ে নিশানা করলেন তৃণমূল সরকারকে। বাদ গেলেন না বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেত্রী কঙ্গনা রনউতও। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল সহ ইন্ডিয়ার সাংসদেরা সংবিধান হাতে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে নাটক করছেন। কিন্তু, বাংলায় যা হয়েছে তার অনুমতি কি সংবিধান দেয় ?’
চোপড়ার ঘটনা নিয়ে তৃণমূলকে একহাত নিলেন বিজেপি মুখপাত্র শহজাদ পুনাওয়ালাও। চোপড়ার এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তা সত্ত্বেও এই ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা যে এখনই শেষ হচ্ছে না তা স্পষ্ট। বরং আরও আক্রমণাত্মক হয়ে বিজেপি এই ঘটনা নিয়ে ময়দানে নামছে। অন্যদিকে, সোমবার চোপড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘মণিপুরে যখন এক মহিলাকে নিগ্রহ করা হয়েছিল, তখন সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এখন চোপড়াতেও এক তরুণীকে নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। এখন তিনি কোথায়? এ বার তিনি চোপড়ায় যান!’’
উল্লেখ্য, রবিবার চোপড়ায় এক তৃণমূল নেতার হাতে এক তরুণী এবং তরুণের নিগ্রহের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। ভিডিয়োয় দেখা যায়, কঞ্চির ছড়া দিয়ে এক তরুণীকে এলোপাথাড়ি মারছেন এক তৃণমূল নেতা। যাঁর নাম তাজম্মুল ইসলাম ওরফে ‘জেসিবি’। ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ বর্তমান। এই ভিডিও কে হাতিয়ার করে রবিবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘জেসিবি আসলে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের ঘনিষ্ঠ। তাই বহু অপরাধ করলেও তাঁর শাস্তি হয়নি।” যদিও চোপড়ার বিধায়ক এই ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেছেন।
Discussion about this post