১১৯ দিন পর আজ, ১৫ জুলাই ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা। এর আগে গত ১৮ মার্চ শেষবর সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে সেদিন শুনানি হয়নি। এই আবহে মামলাটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই আবহে বিগত প্রায় বেশ কয়েক মাস ধরে অপেক্ষায় আছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা। তবে ১৫ জুলাই এই মামলাটির সিরিয়াল নম্বর ৬০। রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ জুলাই বকেয়া ডিএ মামলার শুনানি হতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। সেই তারিখেই মামলাটি তালিকাভুক্ত করা আছে। ১৫ জুলাই বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলা ওঠার কথা আছে।
পাঁচ নম্বর আদালতকক্ষে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলা উঠবে। এর আগে ডিএ মামলা বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে উঠেছিল। তবে এবার সেই মামলায় বিচারপতি বদল হয়েছে। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর ছিল, সোমবার বিকেল নাগাদ মামলাটির শুনানি হবে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা শুনবে বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে ১১ বার এই মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। কিন্তু এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট কোনও নির্দেশ দেয়নি। এমতাবস্থায় বর্ধিত ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের নজর এখন সুপ্রিমকোর্টের দিকে। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্টে প্রথম বার ওঠে ডিএ মামলা । তারপর কেটে গেছে দেড় বছরেরও বেশি সময়। তবে মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি একবারও হয়নি। মামলাকারী সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ও সরকারি কর্মচারী পরিষদের অভিযোগ, বারবার ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠলেও কোনও শুনানি হয়নি।
ফলে মামলা একই জায়গায় থমকে, হতাশ রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী।কেন্দ্রীয় হারে এবং বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএর দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। ২০২২ সালের ২০ মে উচ্চ আদালত রাজ্যকে কর্মচারীদের কেন্দ্রের সমতুল ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। হাইকোর্টে জয়ী হয় রাজ্য সরকারি কর্মীদের কনফেডারেশন, ইউনিটি ফোরাম এবং সরকারি কর্মচারী পরিষদ। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে যায় রাজ্য।
Discussion about this post