আরও এক বীর সেনা জওয়ানকে খোয়ালো বাংলা । জম্মু-কাশ্মীরের ডোডায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন দার্জিলিংয়ের লেবংয়ের বড়াগিঙ্গের বাসিন্দা ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপা। মাত্র ২৭ বছর বয়সে নিহত হন দার্জিলিংয়ের লেবংয়ের বড়াগিঙ্গের বাসিন্দা ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপা। সোমবার রাতে জম্মু কাশ্মীরের ডোডা থেকে চার ঘন্টা দুরত্বে থাকা এক পাহাড়ি জঙ্গলে একটি অভিযানের সময় আচমকা আতঙ্কবাদীরা হামলা চালায়। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পালটা হামলা চালায় সেনারা। শেষে দুপক্ষের লড়াইয়ে ব্রিজেশ সহ আরও চার জওয়ান ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেছিলেন। ব্রিজেশ থাপার শহীদ হওয়ার খবর ইতিমধ্যে সেনা আধিকারিকদের তরফ থেকে তার পরিবারকে জানানো হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপার বাবা কর্নেল ভুবনেশ থাপা ২০১৪ সালে সেনা থেকে অবসরপ্রাপ্ত হন।
২০১৮ সালে ব্রিজেশ থাপা ডিফেন্স সার্ভিসের শর্ট সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় পাস করেন ও ২০১৯ সালে সেনাতে যোগ দিয়েছিলেন। ব্রিজেশ থাপার পিতা কর্নেল ভুবনেশ থাপা বলেন, ছোট থেকেই ব্রিজেশের সেনার প্রতি খুব টান ছিল। নিজেকে সেইভাবেই তৈরি করেছিল। কষ্ট তো হচ্ছে কিন্তু আক্ষেপ নেই। আমার সন্তান দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হয়েছে।বুধবার ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপার পার্থিব শরীর শিলিগুড়িতে ফিরলে তাকে বাগডোগরা সেনা ছাউনিতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা জানানো হয়েছে। সেখান থেকে তার দেহ সড়কপথে লেবংয়ের নিজভূমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্রিজেশের বাবা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ভুবনেশ থাপা বলেন, ‘‘ছোট থেকেই ব্রিজেশের সেনার প্রতি খুব টান ছিল । নিজেকে সেইভাবেই তৈরি করেছিল । কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু আক্ষেপ নেই । আমার সন্তান দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হয়েছে ।’’
ব্রিজেশ দু’বছর ১০ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের মোতায়েন ছিলেন। এরপর তাঁকে এক্সট্রা রেজিমেন্টাল ডিউটির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ বিভাগ ১৪৫ আর্মি এয়ার ডিফেন্সের অধীন জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা সেনা ছাউনিতে বদলি করা হয়। সেখানে ব্রিজেশ থাপা এ- কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। নিজের ট্রুপ নিয়ে ডোডা থেকে প্রায় চার ঘণ্টা দুরত্বে একটি অভিযানে যাওয়ার সময় আচমকা তাঁদের উপর হামলা হয়। আর সেই হামলাতেই প্রাণ হারান ব্রিজেশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
Discussion about this post