টলিপাড়ার বিয়ের মরসুম। ১৫ই জুলাই চার হাত এক হল শোভন-সোহিনীর। শহর থেকে দূরে খামার বাড়িতে ঘনিষ্ট কিছু বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গাঁটছোড়া বাঁধলেন যুগল। কিন্তু বিয়ের আগে থেকেই নাকি বৌদি সোহিনীর কথা মেনে চলছেন ননদ। তিনি সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। তাঁর পোশাকের রঙ নাকি বেছে দিলেন সোহিনী। যিনি সম্পর্কে দীপ্সিতার বৌদি।
শোভন-সোহিনীর সম্পর্কের গুঞ্জন বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল। তাঁদের সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা নানা ছবি নিয়েও চর্চা করছিলেন নেটিজেনরা। কিন্তু এ বিষয় নিয়ে খুব একটা মুখ খুলতে দেখা যায়নি শোভন-সোহিনীকে। গত ১৫ই জুলাই শহরের দূরে একটি খামারবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় বিয়ের আয়োজন। সেখানেই পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের উপস্থিতিতে চার হাত এক হল লাভ বার্ডসের। জানা গিয়েছে, ১৪ই জুলাই সবাইকে নিয়ে খামারবাড়িতে পৌঁছে যান তারা। পরদিন আইনে পদ্ধতি মেনে বিয়ে সারেন যুগল। আর সেই বিয়েতেই হাজির হয়েছিলেন দীপ্সিতা। শোভনের মাসতুতো বোন তিনি। বিয়ের আগে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছিলেন বামনেত্রী। আর সেই অনুষ্ঠানেই দীপ্সিতাকে দেখা যায় হলুদ রঙের শাড়িতে। সঙ্গে লাল ব্লাউজ। চোখে সানগ্লাস। সমাজমাধ্যমে এই ছবি পোস্ট হতেই নজর কেড়েছে অনেকের। এ বিষয়ে দীপ্সিতা জানান, কনে এরকমই সাজেরই নিদান দিয়েছেন। তাই তার কথা রাখতেই এমন সাজ ছাড়া উপায় নেই। অসাধারণ লুকে ধরা দিয়েছেন বামনেত্রী। আর হবে নাই বা কেন! দাদার বিয়ে বলে কথা।
অন্যদিকে সোহিনী-শোভনের সাজও বেশ প্রশংসিত হয়েছে সমাজমাধ্যমে। সোহিনী পড়েছিল মেরুন রঙের বেনারসী। সঙ্গে সাদা ব্লাউজ। গলায় সোনালী চোকার, কানে ঝুমকো, নোলক ও টিকলি মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে তার সাজে। অন্যদিকে শোভন পড়েছিলেন সাদা পাঞ্জাবী। যুগলের বিয়ে নিয়ে এখন সমাজমাধ্যমে নানা আলোচনা ভেসে আসছে। আবার সমালোচনাও করছেন অনেকে। কেউ লিখছেন শোভনের প্রাক্তনদের নিয়ে। আবার কেউ ছবি দিচ্ছেন সোহিনীর প্রাক্তনদের। তবে এসবে পাত্তা মোটেই দিতে রাজি নয় নবদম্পত্তি। তবে শুভেচ্ছা বার্তাতেও ভরিয়ে দিচ্ছেন অনেকে। অনেকে লিখছেন, নতুন জীবন সুন্দর হোক শোভন-সোহিনীর।
Discussion about this post